সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের হামলার বদলা নিতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইজরায়েল। ইতিমধ্যেই গাজা ভূখণ্ডকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইজরায়েলি ফৌজ। লাগাতার চলছে মৃত্যুমিছিল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার যুদ্ধবিরতির দাবি উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছে তেল আভিভ। কিন্তু সাময়িকভাবে হলেও এবার নাকি যুদ্ধ থামাতে ইজরায়েল! এমনটাই দাবি করলেন খোদ হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। তবে কি গাজার আকাশ থেকে সরতে চলেছে যুদ্ধের কালো মেঘ?
মঙ্গলবার টেলিগ্রামে হানিয়েহ বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করার খুবই কাছাকাছি রয়েছি।” জানা গিয়েছে, হামাসের হাতে পণবন্দি ইজরায়েলিদের মুক্তি দেওয়ার বদলে সাময়িকভাবে যুদ্ধ থামাতে সম্মত হতে পারে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এই চুক্তি সম্পাদনে মধ্যস্থতা করছে কাতার। এই কাতারেই রয়েছে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহর কার্যালয়। পণবন্দিদের মুক্তি ব্যাপারে সোমবার আশা প্রকাশ করেছেন ইজরায়েলের ‘বন্ধু’ দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আশা করছি পণবন্দিদের মুক্তির চুক্তিটির অগ্রগতি হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ইরানের হাতে নতুন হাইপারসনিক মিসাইল, ইজরায়েলকে গুঁড়িয়ে দেওয়াই কি লক্ষ্য?]
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। মৃত্যু হয় হাজারের উপর ইজরায়েলির। পণবন্দি করা হয় বহু মানুষকে। হামাসের এই আক্রমণের জবাব দিতে গাজায় ঢুকে অভিযান শুরু করে ইজরায়েলি ফৌজ। যার জেরে ইতিমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। যুদ্ধের বলি নিষ্পাপ শিশুরাও।
এই প্রেক্ষিতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য ইজরায়েলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু চাপের মুখেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ততদিন পর্যন্ত গাজায় জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না, যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হবে না, যত দিন না প্যালিস্তিনীয় জঙ্গিদের হাতে আটক ২৪০ জন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ফলে এদিন হানিয়েহর বক্তব্যের পর একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, এবার কি তাহলে থামবে মৃত্যুমিছিল? যদিও এই চুক্তির বিষয়ে ইজরায়েলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।