সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তির পথে একমাত্র বাধা হামাস। এমনটাই মনে করেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আট মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। গাজায় এই জঙ্গি সংগঠনের হাতে বন্দি রয়েছেন শতাধিক ইজরায়েলি। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের মৃতের সংখ্যা। এই আবহে পণবন্দিদের মুক্তি ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে কাতারে। যেখানে যোগ দিয়েছে আমেরিকাও।
কবে গাজায় থামবে মৃত্যুমিছিল? কবে ঘরে ফিরবেন হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলিরা? গত ৮ মাস ধরে এই প্রশ্নই ঘুরছে আন্তর্জাতিক মহলে। যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফেরানোর পথ খুঁজতে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে কাতার। লাগাতার মিশর, জর্ডন, সৌদি আরব, আমেরিকার মত দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে সেখানে। বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে ইজরায়েল ও হামাসও। এএফপি সূত্রে খবর, দুদিন আগে মিশরে এমনই এক আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা প্রাক্তন মন্ত্রীর! চাঞ্চল্য কাজাখস্তানে]
সেই নিয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার ব্লিঙ্কেন বলেন, "আসল কথা হল এই মুহূর্তে গাজার মানুষ ও যুদ্ধবিরতির মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে হামাস। ওদের সঙ্গে আলোচনায় আসা অতোটা সহজ নয়। এক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে ওদের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। হামাসের যে নেতারা কাতার ও মিশরের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তারা অবশ্যই গাজার বাইরে বসবাস করছে।" এই মুহূর্তে দক্ষিণ গাজার রাফায় ঢুকে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, হামাস নিধনে এখনও গাজায় আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় নেতানিয়াহু। লক্ষ্য একটাই। হামাস জঙ্গিদের সমূলে নিধন। আর তার জন্য রাফায় ঢুকে অভিযান শুরু করতেই হবে ইজরায়েলকে। এবার নাকি তারই সময় এসে গিয়েছে। তাই রাফায় আক্রমণের ধার তীব্র করেছে ইজরায়েলি সেনা। দিন পাঁচেক আগেই রাফায় ‘অগ্নিবর্ষণ’করেছিল তেল আভিভ। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১৩ জন। এখন রাফার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার প্রহর গুনছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।