স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান ক্লাবের মাঠের মালিকানা সত্ত্ব তিন প্রধানের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্যসভায় দাবি তুললেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ন্যাশনাল স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি বিল নিয়ে আলোচনার সময় সাংসদ ঋতব্রত বলেন, “কলকাতা ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান, মহামেডানের পাশে শতবর্ষে পা দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলও। এই তিন প্রধান ভারতীয় ফুটবলের ধাত্রীভূমি। বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। অথচ এই তিন প্রধানের মাঠের মালিকানা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে। তিন প্রধানের সঙ্গে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত মাঠের মালিকানা ক্লাবগুলোর হাতেই তুলে দেওয়া।”
[দোভাষী ছাড়াই অ্যাকোস্টার সাংবাদিক সম্মেলন, হাস্যকর পরিস্থিতি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে]
ঋতব্রত-র এই দাবি নিয়ে ময়দানে পড়ে গিয়েছে জোর শোরগোল। তিন প্রধানের কর্তারাই ঋতব্রত-র বক্তব্যকে বাহবা জানিয়েছেন। মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত তো বলেই দিলেন, “এর চেয়ে ভাল প্রস্তাব আর কিছু হতে পারে না। সিএবি-র মতো আমাদের হাতেও মাঠ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে তুলে দিক। তাহলে আমরা আধুনিক স্টেডিয়াম গড়তে পারব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে ফ্লাডলাইট হওয়ায় সন্ধ্যায় লিগের খেলা দেখতে প্রচুর দর্শক মাঠে আসছে। আমাদের হাতে মালিকানা সত্ত্ব থাকলে স্টেডিয়ামকে আরও আমরা আধুনিকীকরণ করতে পারব।”
[এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত]
মহামেডান সচিব কামারুদ্দিন জানালেন, “মাঠের সত্ত্ব সেনাবাহিনীর হাতে থাকায় আমরা কোনও কাজ-ই করতে পারিনা। টাকা আছে অথচ গ্যালারি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু সেনাবাহিনীর অনুমতি নেই। মাঠে এক ঝুড়ি মাটি ফেলতে কিনা অনুমতি লাগে। এরচেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে?” ইস্টবেঙ্গল কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য দেবব্রত সরকার জানিয়ে দিলেন, “এই দাবি আমাদের বহুদিনের। ভাল লাগছে ঋতব্রত আমাদের দাবিটা দেশের সামনে তুলে ধরলেন। সেনাবাহিনীর হাতে থাকায় আমরা ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকি। এভাবে কখনও চলতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এর সম্মান জানানো।”
The post মাঠের মালিকানা তিন প্রধানের হাতেই থাক, রাজ্যসভায় দাবি সাংসদ ঋতব্রতর appeared first on Sangbad Pratidin.