অভিষেক চৌধুরী, কালনা: প্রেমিকার বাড়ির এলাকায় উদ্ধার প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার হামিদপুরে। কেন এই ঘটনা? আত্মহত্যা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতের পশ্চিম আটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সরিফুল শেখ। গত তিন বছর ধরে অন্ধ্রপ্রদেশে সে পাথর কাটার কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে পূর্বস্থলী থানায় হামিদপুর এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কও ছিল। তিনমাস পর তাদের বিয়ের কথা ছিল। মৃতের পরিবার জানায়, কর্মক্ষেত্র থেকে সরিফুল বাড়ি এলেও ১৫ দিন আগে সে ফের অন্ধ্রপ্রদেশে চলে যায়। শুধু তাই নয়, ফোন মারফত সে টাকা চাইলে তারা মনসুর শেখ কিছুদিন আগে টাকাও পাঠিয়ে দেয় অনলাইনে। পরিবারের মানুষজনের সঙ্গে শনিবার রাতেও যুবকের ফোনে কথা হয়। তার পরই রবিবার যে গ্রামে সরিফুলের বিয়ের কথা সেখানকার একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে নামফলক বিতর্ক: তৃণমূল নেতাদের নিশানা, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ উপাচার্যের]
ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিকে ছেলে কবে ফিরে এসেছেন তা জানতেনই না পরিবারের সদস্যরা। মৃতের বাবা মনসুর শেখ জানান, “ছেলে ১৫ দিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশে চলে যায়। দিন পাঁচেক আগে ছেলেকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকাও পাঠিয়েছিলাম। কাল রাতেও আমাকে ফোন করে। খুব হাসিখুশিও ছিল। হঠাৎ করেই একজনের কাছে খবর পাই হামিদপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে ছেলে ঝুলছে। পরে অন্ধ্রপ্রদেশে ফোন করে জানতে পারি ছেলে তিন দিন আগে ওখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু ছেলে যে এখানে এসেছে তা আমরা জানতে পারিনি।”
মৃতের বাবা আরও জানান, “ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেখানে বিয়েও ঠিক হয়েছিল। কারও সঙ্গে ঝগড়ার জেরেও ছেলে আত্মঘাতী হতে পারে। কিন্তু আসল কারণটা কী তা এখনও আমরা বুঝতে পারছি না। পুলিশকে জানিয়েছি সঠিক তদন্তের জন্য।”