অর্ণব দাস, বারাকপুর: নতুন কেনা গাড়ির কিস্তি (EMI) দেওয়া জটিলতা, গ্রাহকের চেক বাউন্স করা নিয়ে শোরুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা থেকে মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী রইল উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি। ওই শোরুমের ভিতর থেকেই উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল নৈহাটিতে (Naihati)। শোরুম কর্তৃপক্ষের দাবি, বচসার পর যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। নৈহাটি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। যুবকের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শোরুমের তিন কর্মীকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের ছোট জাগুলিয়া বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন এক নামী কোম্পানির গাড়ি কিনেছিলেন নৈহাটির একটি শোরুম থেকে। তা প্রায় দিন কুড়ি আগে। একটি ফাইনান্স সংস্থার মাধ্যমে তিনি গাড়িটি কেনেন। লোনের কিস্তি বাবদ সাদ্দাম ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন সাদ্দাম। কোম্পানিকে দেওয়া সেই চেকটি বাউন্স হয়ে যায় বলে দাবি শোরুম কর্তৃপক্ষের। এরপর সাদ্দামকে ডেকে পাঠায় নৈহাটির শোরুম কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল রিপোর্টে লেখা যাবে না নির্যাতিতার নাম, ধর্ষণ মামলা পরিচয় গোপন রাখতে কড়া স্বাস্থ্যদপ্তর]
বুধবার বিকেলে নৈহাটির শোরুমে যান সাদ্দাম হোসেন। তখন তাঁর সঙ্গে চেক বাউন্স (Bounce) নিয়ে কর্তৃপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ সাদ্দামের উপর ওই টাকা তৎক্ষণাৎ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করে। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে সাদ্দাম ফোন করে বন্ধুদের জানান। বন্ধুদের দাবি, সাদ্দাম এও বলেন যে বন্ধুরা তাড়াতাড়ি যেন টাকা নিয়ে শোরুমে গিয়ে জমা দেয়, নাহলে তাঁর প্রাণহানি হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ফোনে কথা বলা নিয়ে নিত্য অশান্তি, ‘পরকীয়া’ সন্দেহে মাথা থেঁতলে বধূকে খুন স্বামীর]
এরপর সাদ্দামের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা শোরুমে পৌঁছন। জানতে পারেন, সাদ্দাম আত্মহত্যা করেছেন শোরুমের মধ্যেই। সেখান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, কিস্তির টাকা না পাওয়ায় সাদ্দামকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে শোরুমের মধ্যে। খবর পেয়ে নৈহাটি থানার পুলিশ এসে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শুরু হয়েছে তদন্ত।