অর্ণব আইচ: স্বামীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই সংশয় ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার জেরে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। এসবের পর সোমবার সকালে মুচিপাড়া (Muchipara) থানা এলাকার এক আবাসন থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। এবং সেইসঙ্গে উঠে গেল হাজারও প্রশ্ন। যদিও দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন ওই গৃহবধূ। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ।
গীতাঞ্জলি অ্যাপার্টমেন্ট। ১৪, ধীরেন ধর সরণি, কলকাতা – ১২। এই ঠিকানা থেকেই সোমবার সকালে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হেল্প লাইন নম্বর ১০০তে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, ফ্ল্যাটের দোতলা থেকে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ (Hanging deadbody) উদ্ধার করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মুচিপাড়া থানার পুলিশকে যোগাযোগ করে তাঁদের সেখানে পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে এনআরএস (NRS) হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মৌমিতা পাণ্ডা, বয়স ৩৮ বছর।
[আরও পড়ুন: দিনের ব্যস্ত সময়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ড, ছড়াল আতঙ্ক]
প্রাথমিক তদন্তের পর মৌমিতাদেবীর মৃত্যু নিয়ে নানা তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, স্বামী বিশ্বজিৎ পাণ্ডার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ১২ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক। তাঁদের ১০ বছরের এক কন্যাও আছে। কিন্তু সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক (Extra marrital affair) তৈরি হচ্ছে বলে সংশয় করতেন মৌমিতাদেবী। অশান্তির জেরে স্বামী ইদানিংকালে অন্যত্র গিয়ে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি, প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলায় CID দপ্তরে হাজিরা দিলেন না শুভেন্দু অধিকারী]
এরপর সোমবার মৌমিতাদেবীর বোন তাঁর ফ্ল্যাটে যান। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বহুবার ডেকেও তা খোলা হয়নি। তারপর তিনি দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন এবং দেখেন দিদির মৃতদেহ। এরপর তিনিই ১০০ ডায়াল করে ঘটনার কথা পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। শুরু হয়েছে তদন্ত।