সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাথার ঘন চুল যখন মরুভূমি হয়ে যায়…’ বিখ্যাত বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন স্রেফ জিঙ্গলে সীমাবদ্ধ না থেকে জীবনের অংশ হয়ে ওঠে তখন বহু ক্ষেত্রেই ব্যঙ্গবিদ্রুপের ধাক্কাটা রোজনামচা হয়ে যায়। মাথায় টাক (bald) গজিয়ে উঠতে শুরু করলে নিত্য গঞ্জনার চোটে খড়কুটো ধরার মতো কোনও একটা অবলম্বন খুঁজে বেড়াতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু সত্যিই কি সম্ভব হারানিধি খুঁজে পাওয়া? সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে সম্ভব। না, কোনও ভুঁইফোঁড় হাতুড়ে ডাক্তাররা এমন দাবি করছেন না। করছে খোদ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা! ফলে আশায় বুক বাঁধতেই পারেন মাথার চুল হারিয়ে (Hair Loss) আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে থাকা মানুষরা।
দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন ওই গবেষকরা। আর সেই দীর্ঘ গবেষণা শেষে তাঁরা টাক পড়ার আসল কারণ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই সমস্যাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঠিক কোন সমস্যাকে কাঠগড়ায় তুলছেন তাঁরা? গবেষকরা জানাচ্ছেন, এর জন্য দায়ী এক বিশেষ ধরনের প্রোটিনের অভাব। জানা যাচ্ছে, মানসিক চাপের ফলে হরমোনের প্রভাবে সেই প্রোটিনটি অবদমিত হয়ে যেতে থাকে। এই প্রোটিনটির আবারও শরীরে স্বাভাবিক করা গেলেই চুল পড়ার মতো সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব।
[আরও পড়ুন: Ozone hole: আরও বাড়ল ওজোন স্তরের ছিদ্র! বাড়ছে উদ্বেগ]
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ জার্নালে। সেখানে বলা হয়েছে স্ট্রেসের কারণেই চুল পড়া শুরু হওয়ার অন্যতম কারণ। আর চুল পড়তে শুরু করলেই স্ট্রেস বেড়ে যেতে থাকে। ফলে বিপত্তি আরও বাড়ে। সেই চুল পড়াই স্থায়ী ভাবে কমিয়ে দেওয়া সম্ভব। এমনকী, নতুন করে চুলও গজানো সম্ভব।
গবেষকদের দাবি, GAS6 নামের এক প্রোটিন চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে চুল গজাতে সাহায্য করবে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দ্রুতই বাজারে পাওয়া যাবে ওই প্রোটিন ক্রিম? সেব্যাপারে অবশ্য গবেষকরা তাড়াহুড়োর পক্ষে সায় দিচ্ছেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, আপাতত ইঁদুরদের শরীরে গবেষণা চালানো হচ্ছে। সেই গবেষণার ফলাফল আরও বিস্তারিত নিরীক্ষণ করা দরকার। তারপর চূড়ান্ত সম্মতি পেলে তবেই ওই ক্রিম বাজারজাত করা হবে।