সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএএস অফিসার কন্যা বর্ণিকা কুণ্ডুকে অপহরণের চেষ্টায় তোলপাড় দেশের রাজনীতি। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হরিয়ানা বিজেপি সভাপতির ছেলে বিকাশ বরালা। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিকাশকে আড়াল করতে লঘু মামলা রুজু করে পুলিশ। যাত্রাপথে থাকা ৫টি সিসিটিভির ফুটেজ কীভাবে উধাও হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচনার পরও কীর্তিমানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি। কেন ওই মহিলা রাত করে বাড়ি ফিরছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
[কলেজে মিলটন পড়ানো হলে কালিদাস নয় কেন, প্রশ্ন গুলজারের]
চণ্ডীগড়ের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে পথ আটকানো। অপহরণের চেষ্টা। আক্রান্তের নাম বর্ণিকা কুণ্ডু। তাঁর পরিচয় ডিস্ক জকি এবং এক আইএএস অফিসারের মেয়ে। বৃহস্পতিবারের ভয়ঙ্কর রাতের পর এতটুকু কুঁকড়ে না গিয়ে থানায় গিয়েছিলেন বর্ণিকা। পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগও নিয়েছিল। তারপর দায়িত্ব পুলিশ বুঝে নেয়। অভিযোগের কিছু পর বিজেপি নেতার ছেলে বিকাশ বরালা এবং তার বন্ধু আশিস কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। তবে রহস্যজনকভাবে অপহরণের অভিযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগ জামিন অযোগ্য ছিল। যে এলাকা ধরে তাণ্ডব চলে সেই এলাকার ৫টি সিসিটিভির ফুটেজ রহস্যজনকভাবে পাওয়া যায়নি। এই তদন্তে ওই ছবি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এত কাণ্ডের পরও কীর্তিমানের পাশেই দাঁড়িয়েছেন হরিয়ানার বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি। এই নিয়ে ওই মহিলার দিকে তিনি আঙুল তুলেছেন। রামবীর ভাট্টি নামে ওই বিজেপি নেতার বক্তব্য, কেন বেশি রাতে ওই মহিলা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সাফ কথা, রাত বারোটার পর ওই মহিলার বাইরে বেরোনো ঠিক হয়নি।
[ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে আর থাকবে না বোনেরা!]
এই ঘটনায় দ্রুত লেগেছে রাজনৈতিক রং। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, এই ঘটনায় স্পষ্ট অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল। ঠিকমতো ধারা প্রয়োগ হয়নি। চণ্ডীগড় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায় থাকার পরও, কেন কেন্দ্র এই নিয়ে উদ্যোগ নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, পুলিশের রিপোর্টে যৌন হেনস্তার কথা সন্তপর্ণে বাদ দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে রণদীপের অভিযোগ দলীয় নেতাকে বাঁচাতে এটা বিজেপির চাল। এই ঘটনায় বিজেপির মধ্যেও অস্বস্তি বেড়েছে। কুরুক্ষেত্রর বিজেপি সাংসদ দলীয় সভাপতির ইস্তফা চেয়েছেন। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তবে এই ঘটনার পর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার। পরে অবস্থা বদলাতে দেখে খাট্টার বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। চণ্ডীগড় পুলিশ কেন্দ্র্রর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন। এতবড় ঘটনার পরও কেন্দ্র কেন চুপ তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
The post অপহরণের প্রমাণ ‘লোপাটে’ সিসিটিভি ফুটেজ উধাও? চণ্ডীগড়ের ঘটনায় রহস্য appeared first on Sangbad Pratidin.