সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিল্লি হাই কোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানির আগে পর্যন্ত দিল্লির কোনও গাছ কাটা যাবে না। জাতীয় পরিবেশ আদালত বা এনবিসিসিকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীতে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে হবে।
দূষণ নিয়ে এমনিতেই ভুগছে দিল্লি। তার উপর গাছ কাটা হলে তা আরও বাড়বে। তাই কোনও রাজনৈতিক দল নয়। সাধারণ মানুষই এগিয়ে এল ‘গাছ বাঁচাও’ অভিযানে। দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ষোলো হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লিতে সরকারের ভিআইপি হাউজিংয়ের জন্য এই গাছ কাটা পড়ার কথা ছিল। গাছগুলি বেশিরভাগই সরোজিনী নগর থানার আওতায় পড়ে। রবিবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন স্থানীয়রা। এই নিয়ে একটি ক্যাম্পেনের সূত্রপাত করেন প্রেরণা প্রসাদ। তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেন। ফল মেলে হাতেনাতে। শেষমেশ আদালত গোটা বিষয়টি নিজের হাতে নেয়।
[ সেনাকর্তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে নারাজ হয়েই খুন মেজরের স্ত্রী ]
আপ সাংসদ সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, দল আদালতের নির্দেশ মেনে চলবে। গাছ কাটার ঘটনার দায় সম্পূর্ণ কেন্দ্রের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “এ যেন দিনে দুপুরে হত্যা।” তিনি এও বলেছেন, দিল্লি সরকার গাছ কাটা বন্ধ রাখার বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে দিল্লি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রজেক্ট বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
এনবিসিসি জানিয়েছে, উন্নয়নের জন্য দেশের সবুজ পরিবেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে না। শুধু পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য দক্ষিণ দিল্লির উন্নয়ন। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলেও জানায় তারা।
[ সেনাকর্তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে নারাজ হয়েই খুন মেজরের স্ত্রী ]
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয় গাছ কাটলে পরিবর্তে চারা গাছ বসানো হবে। কিন্তু বাসিন্দাদের বক্তব্য, একটি পূর্ণবয়স্ক গাছ যতটা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, চারা গাছ তা পারবে না। তাহলে কেন আবাসনের জন্য গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? আর যদি হলও, তাহলে কেন কোনও পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হল না?
The post আবাসনের জন্য গাছ কাটা নয়, আন্দোলনের জেরে রাজধানীতে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.