সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এইচডিএফসি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ সাংভির দেহ খুঁজে পেল পুলিশ। গত সপ্তাহ থেকে নিরুদ্দেশ ছিলেন তিনি। দিন দুই আগে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর রক্তমাখা গাড়ি। সিদ্ধার্থ যে আর বেঁচে নেই, তা আন্দাজ করা গিয়েছিল তখনই। এবার তার দেহ পাওয়ার পর আর সন্দেহের কোনও অবকাশ রইল না।
[ জ্বালানি জ্বালা মেটাতে পথে রাহুল, ‘বনধের বন্ধক’ জনতা ]
এইডিএফসির ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ সাংভির খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সরফরাজ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানানো হয়, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সরফরাজ স্বীকার করে নিয়েছে যে সাংভির দেহ সে কল্যাণ হাইওয়ের কাছে ফেলে দিয়েছিল। তার কথার উপর ভিত্তি করেই এনএম যোশী মার্গ থানার পুলিশ আরও চারজনকে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন মহিলা। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
মালাবার হিলসে বাড়ি ছিল সিদ্ধার্থ সাংভির। ৫ সেপ্টেম্বর অফিস থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। তার পরের দিনই কোপার খাইরানে এলাকায় তাঁর গাড়ির সন্ধান মেলে। গাড়িটি ছিল রক্তমাখা।
[ ফের ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির মূল্য, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের ]
এরপর থেকেই সাংভিকে যে হত্যা করা হয়েছে, এই অনুমান জোরাল হয়। পুলিশের সন্দেহ, পেশাগত আক্রোশের কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে। চাকরিক্ষেত্রে তাঁর পদন্নোতি অনেকেরই পছন্দ ছিল না। এই নিয়ে অনেকের মধ্যে হিংসাও ছিল। ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে ২০০৭ সালে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কাজে যোগ দেন সাংভি। ২০১১ সালে তিনি অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে উন্নীত হন। ২০১৫ সালে তিনি ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে সরাসরি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন সিংভি। ১০ বছরের কেরিয়ার তিনবার প্রোমোশন পান তিনি। সূত্রের খবর, সাংভির উপর হিংসা তৈরি হওয়ার এটি একটি কারণ হতে পারে।
The post ৫ দিন পর উদ্ধার নিখোঁজ ব্যাংক কর্তার দেহ, গ্রেপ্তার এক সন্দেহভাজন appeared first on Sangbad Pratidin.