সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুলন্দশহরে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ৪ ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনার মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজের নাম। কিন্তু বুধবার অভিযুক্ত নিজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে সে দাবি করেছে, বুলন্দশহরে গোহত্যা নিয়ে যে চাপানউতোর চলছে, তার দায় একেবারেই তার উপর বর্তায় না। কারণ সেদিন সে ঘটনাস্থলেই উপস্থিতই ছিল না। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
বজরং দলের জেলা সমন্বয়কারী যোগেশ রাজ। ভিডিওয় সে বলেছে, পুলিশ তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে চাইছে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। সেদিন মোট দু’টি ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমটি ছিল জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় গবাদি পশুর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া। খবরটি জানার পর সে তার সহকর্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে পুলিশও ছিল। সেখানকার পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত হলে সে থানায় অভিযোগ জানাতে যায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি যখন ঘটে তখন সে থানাতেই বসেছিল। তাহলে ঘটনাস্থলে সে কীভাবে উপস্থিত হবে? একই ব্যক্তি তো একসঙ্গে দু’জায়গায় থাকতে পারে না। বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে পুলিশের চক্রান্ত বলে দাবি করেছে যোগেশ।
[ মোদি জমানায় তরতরিয়ে বাড়ছে গোমাংস রপ্তানি, বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারত ]
এদিকে আজ সকালে যোগেশের অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নাবালককে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১১ বছর, অন্যজনের ১২ বছর। তাদের সঙ্গে এক আত্মীয়কেও থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। ওই আত্মীয় জানিয়েছেন, তাদের তিনজনকে প্রায় ৪ ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয়। তারপর নাম, ফোন নম্বর লিখে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে গ্রামের বাইরে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি গরুর মৃতদেহ দেখা যায়। সেগুলি তুলে নিয়ে আসে ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। সেগুলি নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। তখনই পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। তাতে এক পুলিশ অফিসার ও এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। ওই এলাকাতেই একদিন আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানের সঙ্গে এই গোহত্যার যোগ রয়েছে বলে গুজব ছড়ায় এলাকায়। এর জেরেই ছড়ায় হিংসা।
[ মহিলা হস্টেলের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা, অজান্তেই ফ্রেমবন্দি স্নানের দৃশ্য ]
The post ‘আমি নির্দোষ’, ভিডিও বার্তায় দাবি বুলন্দশহর কাণ্ডে মূল অভিযুক্তর appeared first on Sangbad Pratidin.