সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নতুন কোনও 'অপারেশনে'র ছক কষেছিল ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ? এবার তুরস্কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোসাদের আর্থিক দপ্তরের প্রধান লিরিডন রেক্সহেপিকে। তুরস্কে থাকা এজেন্টদের অর্থ পাচার করার অভিযোগ উঠেছে এই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে। সেই অর্থ দিয়ে নাকি প্যালেস্তিনীয়দের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরেই রেক্সহেপির গতিবিধির উপর নজর রাখছিল তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, গত ২৫ আগস্ট তুরস্কে প্রবেশ করেন রেক্সহেপি। তার পর থেকেই তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল এমআইটি। অবশেষে গত ৩০ আগস্ট ইস্তাম্বুল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রেক্সহেপি। এই গ্রেপ্তারির পর বিবৃতি দিয়ে এমআইটি জানায়, 'তুরস্কে প্রবেশের পর থেকে রেক্সহেপিকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বিশেষ করে কসোভো থেকে তুরস্কে মোসাদের এজেন্টদের কাছে অর্থ স্থানান্তর করার অভিযোগ রয়েছে। রেক্সহেপির দেওয়া অর্থ সিরিয়ায় গোয়েন্দাদের তথ্য সংগ্রহ,প্যালেস্তিনীয়দের বিরুদ্ধে অভিযান ও ড্রোন হামলার জন্য ব্যবহৃত হত।' যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত মোসাদ কিংবা ইজরায়েল মুখ খোলেনি।চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইজরায়েলের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে তুরস্কের প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: বন্যায় মৃত্যুমিছিল কেন রোখা যায়নি? ৩০ সরকারি কর্মীকে হত্যা কিমের নির্দেশে!]
গাজায় হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্কের সঙ্গে তেল আভিভের সংঘাত বেড়েছে। গাজায় নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু নিয়ে ইজরায়েলর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে 'যুদ্ধপরাধি' বলে তোপ দেগেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। রাষ্ট্রসংঘেও একাধিকবার ইহুদি দেশটির কড়া সমালোচনা করেছে তুরস্ক। এর মাঝেই ইরানে গিয়ে খুন হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। তার মৃত্যুতেও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ইরান সেনা দাবি করে, হানিয়েহের হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে মোসাদ। সূক্ষ্ণ অপারেশন চালিয়ে তাদেরই দুজন এজেন্ট বোমা রেখে যান। সেই বিস্ফোরণেই মারা যান হানিয়েহ। আর একাজে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা নিয়োগ করেছিল ইরানেরই দুই নাগরিককে। বিশ্লেষকদের মতে, এবারেও হয়তো বড় কোনও অপারেশনের পরিকল্পনা ছিল মোসাদের। তার জন্যই অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছিল। যা ছক ধরে ফেলেছে তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা।