সুকুমার সরকার, ঢাকা: বেশিদিন আগের কথা নয়। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যষেবা দেওয়ার জন্য যিনি মন্ত্রকের আধিকারিকদের টেবিলে টেবিলে ঘুরেও কারও মন গলাতে পারেননি। বরং পেয়েছেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য। তাঁকে দেখলে অবজ্ঞার চোখে দেখতেন আধিকারিকরা। আর আজ তাঁকেই ফুল বিছিয়ে পরম আদরে বরণ করে নিলেন মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা। তাঁর কৃপালাভের জন্যে এখন পিছু পিছু ঘুরছেন মন্ত্রকের ছোট-বড় সর্বস্তরের আধিকারিকরা। কাজের লোকদের ভালো করেই চেনেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তাই সঠিক কাজের মানুষ হিসেবে বিখ্যাত চিকিৎসক সামন্তলাল সেনকে বেছে নিয়েছেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে।
টেকনোক্রাট কোটায় প্রথম দফাতেই মন্ত্রী (Minister) করেছেন ডাঃ সামন্তলাল সেনকে। কারণ, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় পাঁচ শয্যার ছোট একটা ইউনিট থেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট তৈরির মূল ব্যক্তি বিশিষ্ট বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জন সামন্তলাল সেন। শুক্রবার মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সামন্তলাল সেন। আধিকারিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুই সচিব-সহ সকলে সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে তিনি সুষ্ঠুভাবে মন্ত্রক চালাতে পারবেন। আর স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাবেন। নতুন মন্ত্রীকে নিয়ে এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শুরুতে ছিল মন্ত্রকের স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময়।
[আরও পড়ুন: বিমান ছাড়তে দেরি, ঘোষণা শুনেই পাইলটের মুখে সজোরে ঘুসি যাত্রীর! ভাইরাল ভিডিও]
সামন্তলাল সেন বলেন, অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বড় শহরের বাইরের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা। উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসার উন্নতি হলে ঢাকার হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে। কাজের পরিবেশ ভালো হলে চিকিৎসকেরা মফস্বলে কাজ করবেন। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকরা কেন থাকেন না, তা বুঝতে চিকিৎসকদের কথা শোনা জরুরি। ডাঃ সামন্তলালের কথায়, ”আমি কখনও রাজনীতি করিনি। সবসময় ভাবতাম মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা। তাই কোনওদিন ভাবিনি যে মন্ত্রী হব। কিন্তু এবার তাঁকেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রকের দুটি দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।