সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসকের অভাবে দেশে প্রসূতি বিভাগের জরুরিকালীন পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন পর্তুগালের (Portugal) স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা তেমিদো (Marta Temido)। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে বলি হয়েছেন পর্তুগালে ঘুরতে যাওয়া এক ভারতীয় অন্তঃসত্ত্বা তরুণী। একাধিক হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় চাপে পড়ে পদত্যাগ করলেন পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা।
গত শনিবার মৃত্যু হয় পর্তুগালে ঘুরতে যাওয়া ৩৪ বছরের ওই অন্তঃসত্ত্বার। জানা গিয়েছে, একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সেখানে সন্তান প্রসবের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এদিকে এই অবস্থায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না ওই হাসপাতালে। ফলে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু মাঝপথে অ্যাম্বুলেন্সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তরুণীর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চরম সমালোচনা শুরু হয় পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। সকলের বক্তব্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তার জরুরিকালীন পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কারণেই এভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই ভারতীয় তরুণীর।
[আরও পড়ুন: অবশেষে আলোয় ফিরছে শ্রীলঙ্কা! দেউলিয়া দ্বীপরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াল আইএমএফ]
দেশে কোভিড পরিস্থিতি দক্ষ হাতে সামলেছিলেন মার্তা। সেই কাজের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রশংসিতও হন তিনি। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রসূতি বিভাগের জরুরিকালীন পরিষেবা সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর সমালোচনা হচ্ছিল। এর আগেও পর্তুগালে বেশ কয়েকটি প্রসূতি মৃত্যুর কারণ হিসেবে মার্তাকেই দায়ী করা হচ্ছিল। এরমধ্যে ভারতীয় অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর পর সেই ক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। যার পর একপ্রকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মার্তা।
[আরও পড়ুন: ভারত-চিনকে একসঙ্গে মহড়ায় ডাক পুতিনের, আমেরিকাকে পালটা দিতে নয়া উদ্যোগ রাশিয়ার]
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিয়ো কোস্তা (PM Sntonio Costa) দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। বর্তমান ঘটনায় মার্তা তেমিদোকে নিয়ে দেশে ক্ষোভের আগুন ছড়ালেও তাঁর কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গোটা ঘটনায় মুখ পড়েছে পর্তুগাল সরকারের। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী কোস্তা আশ্বাস দিয়েছেন, দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।