shono
Advertisement
Home Remedies

উৎসবের মরশুমে দেদার খানাপিনায় বদহজম? এই ঘরোয়া টোটকায় হবে সুরাহা

তুলসী পাতার উপকার জানেন?
Published By: Suparna MajumderPosted: 04:26 PM Oct 29, 2024Updated: 04:26 PM Oct 29, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে কালীপুজো, তায় আবার দিওয়ালি। রাতের হালকা হিমের পরশ শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। এমন সময় খানাপিনার আয়োজন বেশ ভালোই হয়। বাঙালির আবার আড্ডার সঙ্গে ভূরিভোজ না হলে চলে না। কিন্তু তার পর? তার পর তো গ্যাস-অম্বল-বুকজ্বালার পালা। তা মেটাতে সবসময় অ্যালোপ্যাথিকের সাহায্য নেওয়া উচিত নয়। তার বদলে ঘরোয়া টোটকায় কিছুটা ভরসা রাখতেই পারেন। যেমন -

Advertisement

কলায় প্রচুর পটাশিয়াম পরিমাণে থাকে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। তাই অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে এটি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলেই আপনার গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনা কমবে।
তুলসী পাতা পাকস্থলীতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়াতে উদ্দীপনা জোগায়। এতে শীতলীকরণ এবং বায়ুনাশক উপাদান রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক। গ্যাসের সমস্যা হলেই ৫-৬টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। অথবা ৩-৪টি তুলসীপাতা সিদ্ধ করে সেই জলে একটু মধু মিশিয়ে খেলে চটজলদি আরাম পাবেন।

দারচিনিতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। আধ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো এক কাপ জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন এভাবে তিনবার দারচিনি মিশ্রিত জল পান করলেই আরাম পাবেন।
পুদিনা পাতা অ্যাসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে গলা, বুক জ্বালা কমায়। সুতরাং কয়েকটা পুদিনা পাতা একটি পাত্রের জলে নিয়ে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করলে উপকার পাবেন।

তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাসিড কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে মৌরি। খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খেলে এই উপকার পাওয়া যায়। বদহজম এবং পেট ফাঁপার চিকিৎসায়ও এটি বেশ কার্যকর। এক গ্লাস জলে কয়েকটি মৌরি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে তা পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং গ্যাস অম্বলের সম্ভাবনাও কমবে।
টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। এর সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে।
লবঙ্গ পাকস্থলীর গ্যাস উৎপাদন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে উপকার।

ডাবের জল পাকস্থলীতে শ্লেষ্মা উৎপাদনে সহায়ক। যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস জমতে দেয় না। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হয়।
ঠান্ডা দুধ খেলে পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড স্থিতিশীল হয়ে আসে। দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি প্রতিরোধ করে। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যা হলেই এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন।
এলাচ হজম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের সম্ভাবনা দূর করে। গ্যাস অম্বলের সমস্যায় দুটি এলাচ গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
আদা কুচি করে বিট নুন দিয়ে খেলে গ্যাস, অম্বল রোধে অত্যন্ত ভালো ফল পাওয়া যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কলায় প্রচুর পটাশিয়াম পরিমাণে থাকে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড।
  • তুলসী পাতা পাকস্থলীতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়াতে উদ্দীপনা জোগায়।
Advertisement