সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে ঢুকেছে বর্ষা। যদিও তা থমকে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে বেশ খানিকটা দেরি হবে। এই মরশুমে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে। সাধারণত দাদ, টিনিয়া ক্যাপিটিস বা চুলের গোড়ার দাদ, পায়ের আঙুলের ফাঁকে সংক্রমণ, ব্রণ, একজিমা এবং স্ক্যাবিসের সমস্যা দেখা যায়। ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হলে কীভাবে রেহাই পাবেন, রইল টিপস।
দাদ:
বর্ষার মরশুমে অনেকেই দাদের সমস্যায় ভোগেন। এই ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ ছোঁয়াচে। তাই একটু সাবধানে থাকা প্রয়োজন। এমন সমস্যা হলে -
* টি ট্রি অয়েল এবং নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
* অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং অ্যালোভেরা ব্যবহারেও রেহাই পেতে পারেন।
টিনিয়া ক্যাপিটিস বা চুলের গোড়ার দাদ
বর্ষাকালে চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তার উপর আবার যদি টিনিয়া ক্যাপিটিস কিংবা চুলের গোড়ায় দাদ হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। এই সমস্যা হলে চুলের গোড়ায় চুলকানি, ত্বক ওঠার মতো সমস্যা দেখা যায়। পুরোপুরি রেহাই পেতে সময় লাগে বেশ অনেকটাই বেশি। যদি এই সমস্যা দেখা যায় -
* অবশ্যই নিজের ব্যবহৃত চিরুনি, তোয়ালে আলাদা করে নেওয়া প্রয়োজন।
* যেকোনও ধরনে অ্যান্টিফাংগাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
* চুল ধোয়ার পর ভালো করে শুকিয়ে নিতেও ভুলবেন না।
পায়ের আঙুলের ফাঁকে সংক্রমণ:
বর্ষায় পায়ে নোংরা জল লাগার ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটাই। তার উপর অনেক সময় পা ভিজে থাকে। তাই পায়ের আঙুলের ফাঁকে সহজেই নানা সংক্রমণ দেখা যায়। এই সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে সাবধান হোন। নইলে পায়ের আঙুলের ফাঁকে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে -
* পা ভালো করে পরিষ্কার করুন।
* ভিজে পা ভালো করে মুছে নিন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
* বাড়িতেও খালি পায়ে হাঁটবেন না। তবে পুরো পা ঢাকা জুতো পরবেন না।
একজিমা
এই মরশুমে একজিমার সমস্যাতেও ভোগেন কেউ কেউ। বিশেষত যাঁরা বেশিক্ষণ জল নিয়ে কাজ করেন তাঁরা এই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে -
* হাতের ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
* জলের কাজ করার পর হাত মুছে নিন।
* সাবানের কাজ করার পর হাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
* পারলে গ্লাভস পরে বাড়ির কাজকর্ম করুন।
স্ক্যাবিস
এই মরশুমে স্ক্যাবিসও হয় অনেকে। স্ক্যাবিস আসলে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকার কামড়ের ফলে ত্বকের সমস্যা। এই ধরনের সমস্যা বেশ দীর্ঘমেয়াদি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে রেহাই পেতে -
* যে অংশে স্ক্যাবিস হয়েছে তা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* গরম জল ব্যবহার করতে পারেন।
* গামছা, তোয়ালে, চিরুনি নিজেরটাই ব্যবহার করুন।
উপরোক্ত ঘরোয়া পন্থায় ছত্রাকজনিত সংক্রমণ না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নইলে বিপদ হতে পারে।