shono
Advertisement

Breaking News

Health Tips

পিঁয়াজ-রসুন কি সত্যিই শরীরের ক্ষতি করে? গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত? জানালেন বিশেষজ্ঞ

তৃপ্তি করে খাওয়ার আগে জেনে রাখুন।
Published By: Suparna MajumderPosted: 04:32 PM Jul 03, 2024Updated: 04:34 PM Jul 03, 2024

রোজের ডায়েটে পিঁয়াজ-রসুন থাকেই। কিন্তু কখনও খোঁজ নিয়ে দেখেছেন এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো? কীভাবে খেলে উপকার? কিংবা কখন ভালো নয়? এমন নানা জরুরি তথ্য তুলে ধরলেন ডায়েটিশিয়ান সোহিনী শীল সাউ

Advertisement

‘মাছে ভাতে বাঙালি’। নিরামিষ খাবারে মোটেই তৃপ্তি নেই। যদি মেনুতে মাছ-মাংস বা ডিম না থাকে তবুও তরকারিতে পিঁয়াজ, রসুন ছাড়া খেয়ে সুখ নেই, রান্না করতেও নাস্তানাবুদ অবস্থা। টেস্ট হবে তো! ছেলে-মেয়ে খেতে চাইবে তো! কত্তা মশাইয়ের খেয়ে তৃপ্তি হবে তো! অগত্যা পিঁয়াজ-রসুন দিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা। আর এও সত্যি এই দুই 'আমিষ' সবজির সাহায্যে স্বাদ ফেরে তরিতরকারির।

ছবি: সংগৃহীত

অনেকেই হয়তো বেশি তেল মশলা খান না, মাছ-মাংস খান না। কিন্তু শান্তি পান পিঁয়াজ পোস্ত খেয়ে, রসুন বাটা দিয়ে এঁচোড় কিংবা পটলের ঝোল খেয়ে। কথায় কথায় ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ কুকিজ, ব্রেড, বিস্কুট থেকে সবজি, ডালে কিংবা রাতের ডিনারে সবসময় পিঁয়াজের গন্ধেই খেয়ে সুখ থাকলেও, অতিরিক্ত হলে চাপও হতে পারে। আর যদি আমিষ প্রিয় মানুষ হন, তাহলে তো কথাই নেই। প্রতি পাতে, সব পদেই এই দুই স্বাদবর্ধক সবজির জুড়ি নেই। এই দুই সবজি কাঁচাও খাওয়া যায়, রান্নায় দিয়েও খাওয়া যায়। এতে কিছু গুণাগুণ থাকলেও এর খারাপ দিকও রয়েছে। তাই কতটা খাবেন, কীভাবে খাবেন সেটা জানা খুব দরকার।

যখন ভালো
রোগ প্রতিরোধে: পিঁয়াজে আছে ভিটামিন-সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে। রসুনে উপস্থিত কিছু উপাদান ক্লান্তি বিভিন্ন দুর্বলতা কাটায়।
হার্টের অসুখে: পিঁয়াজের কেয়ারসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হার্ট ভালো রাখে। রসুনে ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিহত করে।
রক্তের সঙ্গে সম্পর্ক: পিঁয়াজ-রসুন উভয়ই রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায়: পিঁয়াজের ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ভিতরের টক্সিন বার করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে: পিঁয়াজের সালফার যৌগ ক্যালসিয়াম শোষণকে বাড়িয়ে হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে, এতে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কেয়ারসেটিন, ফ্লাভোনয়েড, অ্যালিসিন, সালফার যৌগ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
বাচ্চা জন্মের সময়: পিঁয়াজের মধ্যে থাকা জিঙ্ক হবু মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। রসুনের মধ্যে উপস্থিত এনজাইম হার্ট ভালো রাখে, ল্যাক্টেশন পিরিয়ডে গ্যালাকটোজের মাত্রা বাড়িয়ে মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

[আরও পড়ুন: বিশ্বখ্যাত অন্তর্বাস সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া! ফাঁস প্রিয়াঙ্কার ‘সিক্রেট’ ]

কখন খারাপ পিঁয়াজ-রসুন?
ডায়বেটিস: পিঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। তাই যাঁদের মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো।
কিডনির সমস্যা: পিঁয়াজের মধ্যে থাকা অক্সালেট কিডনি স্টোনের পক্ষে খুব খারাপ। তাই এই রোগের ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। রসুনও কিডনির শত্রু। যেহেতু রান্নায় কম পরিমাণে ব্যবহার হয় তাই অতটা ক্ষতি করতে পারে না।
পেটের জন্য: পিঁয়াজ ও রসুনের মধ্যে রয়েছে পেট গরম করার প্রবণতা। তাই খুব ছোট বাচ্চাদের অর্থাৎ ৫ থেকে ৬ বছর বয়স অবধি না খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। মধ্যবয়স্ক কিংবা বেশি বয়স্করা যাঁরা পেটের সমস্যা কিংবা হজমের গন্ডগোলে ভুগছেন তাঁরা ছেড়ে দিন, ভালো থাকবেন।
হার্টে চাপ: অনেক সময়ই অতিরিক্ত পিঁয়াজ রসুন খাওয়া গ্যাস বা অ্যাসিডিটির ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা পরে সৃষ্টি করে জটিল পরিস্থিতির। হার্টে চাপ পড়ে।

ছবি: সংগৃহীত

কারা কীভাবে খাবেন?
যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সারা সপ্তাহে মাত্র ১৫ থেকে ২০ গ্রাম রসুন এবং ২৫০ গ্রাম পিঁয়াজ খান।
ওজন কমানোর ডায়েটে থাকলে চিকেন স্টুয়ের মধ্যে পিঁয়াজ দিয়ে খান।
গর্ভাবস্থাকালীন পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে না খাওয়াই ভালো।
ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য পিঁয়াজের রস খুব উপকারী। পিঁয়াজের পেস্ট কিংবা রস খান।
সুস্থ ব্যক্তিরা প্রত্যেকদিন পিঁয়াজ ভাজা কিংবা বেরেস্তা না খেয়ে অন্যভাবে খেতে পারেন। আসলে, এর মধ্যে থাকা জলীয় পদার্থ প্রচুর পরিমাণে তেল শোষণ করে, যা একদমই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।

[আরও পড়ুন: বৃষ্টির এই মরশুমে চাই স্পেশাল ফ্যাশন, রইল ৫ টিপস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পিঁয়াজে আছে ভিটামিন-সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে।
  • রসুনে উপস্থিত কিছু উপাদান ক্লান্তি বিভিন্ন দুর্বলতা কাটায়।
Advertisement