সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনের সুখে কিংবা দুঃখে, মুখের মধ্যে পুরে দিলেন আঙুল! কামড়ে কেটে নিলেন নখ বা আঙুলের চারপাশের চামড়ার কিছুটা অংশ। এরকম সময়ে হামেশাই কেউ না কেউ বলে থাকেন, এই বদ অভ্যেসটা ছাড়তে। কখনও কখনও উপদেশের সঙ্গে জুটে যায় মৃদু বকুনিও। তখন যিনি ব্যাপারটাকে বদ অভ্যেস বলছেন, তার উপর একটু বিরক্তিও এসে যায়। বিরক্তি এলে তাঁদের আমরা হয় এড়িয়ে যাই, নয় তো তাঁদের উপস্থিতিতে দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা আঙুলের চার পাশের চামড়া ছেঁড়াটা থামিয়ে দিই। তার পর আবার যে কে সেই! ব্যাপারটা বদ অভ্যেস জেনেও! কিন্তু, বদ অভ্যেস কেন? সেটা কি কেউ বলেছেন? সেই রহস্যই এবার ফাঁস করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই বদ অভ্যেসের পোশাকি নাম ডার্মাটোফেজিয়া। কী এই ডার্মাটোফেজিয়া? তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, সাধারণত উদ্বেগ থেকে এই দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা আঙুলের চারপাশের চামড়া কামড়ানোর বদ অভ্যেস তৈরি হয়। খুব ছোট বয়স থেকেই। সেটাকেই চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হচ্ছে ডার্মাটোফেজিয়া (Dermatophagia)।
[আরও পড়ুন: ফের শেক্সপিয়রের গল্পে অভিনয় অনির্বাণের! টলিউডের ‘রোমিও-জুলিয়েট’ কারা? ]
দীর্ঘ দিন যদি এই অভ্যেস বজায় থাকে, তাহলে কী হয়? সেখানেই আসল সমস্যা! কী হয়, জানলে আঁতকে উঠবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে নখ এবং চার পাশের চামড়া কাটতে কাটতে এক সময়ে নেল বেড নষ্ট হয়ে যায়। মানে, নখের নিচে যে নরম চামড়ার আস্তরণ থাকে, তা আর তৈরি হয় না। নখ তখন বসে যেতে থাকে ত্বকের গভীরে।
এখানেই শেষ নয়। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে কামড়ে আঙুলের মাথার কাছটা বেশ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছেন। এ সব ক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। পাশাপাশি, মুখের লালা থেকেও হতে পারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। সে রকম হলে? আঙুল কেটে বাদ দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তাই, উদ্বেগকে প্রশমিত করার জন্য নখ বা আঙুলের চামড়া না কামড়ালে আপনারই ভালো।
[আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতটা গুরুতর, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ]