সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : বয়স বাড়লে বন্ধুর সংখ্যা কমতে থাকে। সময় কাড়তে থাকে প্রিয়জনদের। একাকিত্বে বোধহয় সব থেকে কাছের বন্ধু হয় প্রিয় পোষ্য। আর পোষ্যটি যদি কুকুর হয়, তাহলে তো কথাই নেই। প্রভুভক্তির চরম দৃষ্টান্ত দেখাতে তার থেকে ভাল আর কেই বা পারে। সত্যিই তো একেই বলে অন্ধের যষ্ঠি। মালিক চলার শক্তি হারিয়েছেন, তাইবলে ভালবাসা তো কমে যায়নি। প্রিয় পোষ্যই যেন মালিকের ভর দেওয়ার কাঁধ হয়ে দাঁড়াল। হুইলচেয়ারে বসে থাকা মালিককে মাথা দিয়ে ঠেলে নিয়ে চলল ডিগং। ড্যানিলো অ্যালার্কনের (৪৬) প্রিয় পোষ্য। এই নামেই তাকে ডেকে থাকেন ড্যানিলো। প্রতিদিনই মর্নিংওয়াক থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে ড্যানিলোর সঙ্গী ডিগং। ঘটনাটি ফিলিপিনসের।
[প্রথমদিন ৩২ কিমি পায়ে হেঁটে কাজে এলেন যুবক, তারপর যা হল…]
প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে হুইলচেয়ারে বসা মালিককে ঠেলে নিয়ে চলেছে পোষ্য কুকুর, এই দৃশ্য দেখে মোহিত হয়ে যান সে দেশের এমবিএ-র ছাত্রী মিসিস ফেইথ এল রেভিল্লা। দিন দুয়েক এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন তিনি। তারপর প্রভু ভক্তির নির্দশনকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ভিডিও করেন। ফেসবুকে সেই ভিডিও আপলোডের পাশাপাশি লেখেন, জীবের এহেন প্রভু ভক্তি তাঁকে চমকে দিয়েছে। মানুষ হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন তিনি। মালিক জন্মাবধি তাঁকে যত্নে রেখেছিলেন। তাই অক্ষম হয়ে পড়া মালিকের হুইলচেয়ার ঠেলতে নিজেকে তৈরি করে ফেলেছে ডিগং। তবে ভিডিওটি প্রকাশের পাশাপাশি ড্যানিলোর সঙ্গেও আলাপ জমিয়ে ফেলেন ওই তরুণী। প্রিয় পোষ্য-সহ তাঁকে ডিনারের আমন্ত্রণও জানান। ছোটখাটো আড্ডাও হয়।
[আজব কাণ্ড! গুগলে ‘ইডিয়ট’ সার্চ করলে আসছেন ট্রাম্প]
তখনই জানা যায়, বছর ৪৬-র ড্যানিলো বেশ মজার মানুষ। একবছর আগেও একবারে সুস্থ সবল ছিলেন তিনি। বাইক দু্র্ঘটনায় পা অকেজো হয়ে যেতেই ঘটে বিপত্তি। ঘরবন্দি হয়ে পড়েন ড্যানিলো। পরিবারের অন্য সদস্যরা কজেকর্মে বেরিয়ে গেলে তাঁকে একাকি সময় কাটাতে হয়। প্রিয় পোষ্য ডিগং তখন তাঁর সঙ্গে সঙ্গে থাকে। গোটা দিন শুধু সাহচর্য দেয় তা নয়, বাইরে বেরনোর ইচ্ছে হলে হুইলচেয়ার ঠেলার দায়িত্বও নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছে ডিগং। কেননা পা হারিয়ে এই হুইলচেয়ারই এখন ড্যানিলোর পৃথিবী। সেই পৃথিবীতে তাঁর একমাত্র প্রিয়জন ডিগং।
The post দুর্ঘটনায় চলার ক্ষমতা হারিয়েছেন মালিক, পোষ্যের কীর্তি দেখে অবাক বিশ্ব appeared first on Sangbad Pratidin.