সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক বললেও বোধহয় কম বলা হয়! উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ফের প্রাণ গেল এক মহিলার। রাষ্ট্রপতি (President) আসছেন বলে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। কোথাও আবার ধীর গতিতে চলছিল গাড়ি। এতটাই যানজট ছিল যে রাস্তাতেই মৃত্যু হল এক অসুস্থ প্রৌঢ়ার। কানপুরের এই ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশও। ঘটনার খোঁজ নিয়েছেন খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কিন্তু এতে কি প্রিয়জনকে হারানোর ব্যথা ভোলা যায়? প্রশ্ন পরিজন হারানো পরিবারের।
শুক্রবার রাতে ট্রেনে চেপে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি। তিন দিনের সফর তাঁর। এর মধ্যে নিজের গ্রামেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে গিয়ে কানপুরের একাধিক রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। সেই জটেই আটকে পড়ে অসুস্থ প্রৌঢ়ার গাড়ি।
[আরও পড়ুন: কাটছে ৪০ বছরের খরা, প্রথম মহিলা মন্ত্রী পাচ্ছে পুদুচেরি, রবিবারই শপথগ্রহণ]
কোভিডকে হারিয়ে সেরে উঠেছিলেন বছর পঞ্চাশের বন্দনা মিশ্র। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির কানপুর শাখার প্রধান ছিলেন তিনি। করোনা পরবর্তী জটিলতার জেরে শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বন্দনা। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভরতির চেষ্টা করেন। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই ব্যাপক যানজটের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, একচুল গাড়ি নড়ার জায়গা ছিল না। রাষ্ট্রপতির কনভয় চলে যেতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তার পর বন্দনাদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। চিকিৎসকরা এমনটাই জানিয়ে দেন।
শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে যোগীরাজ্যের পুলিশ। তাঁদের তরফে করা টুইটে লেখা হয়েছে, বন্দনা মিশ্রের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এটা ভবিষ্যতের জন্য বড় শিক্ষা দিয়ে গেল আমাদের। এর পর থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য রাস্তা খালি করার আগে আরও সতর্ক হব। সূত্রের খবর, জেলাশাসক ও পুলিশ আধিকারিককে ডেকে ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নেন রাষ্ট্রপতিও। তবে তাঁদের এই পদক্ষেপ বন্দনার পরিবারের সদস্যদের কষ্ট লাঘব করতে পারবে কি? উঠছে প্রশ্ন।