আইভিএফ, সিঙ্গল মাদার, এগ ফ্রিজিং – বিশ্লেষণে ক্রেডল ফার্টিলিটি সেন্টারের কর্ণধার, আইভিএফ স্পেশালিস্ট ডা. এস এম রহমান।
কোন অসুখে তাড়াতাড়ি আইভিএফ
মেয়েদের গ্রেড ফোর এন্ডোমেট্রিয়োসিস, ফ্যালোপিয়ান টিউবে ব্লকেজ, টিউবের ব্লকেজ সার্জারি করে না খুললে বা রোগী অন্তঃসত্ত্বা হতে ব্যর্থ হলে, ওষুধে পিসিওএস না কমলে আইভিএফ ছাড়া উপায় নেই। স্বামী বা পুরুষ পার্টনারের শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকলে, সিমেনে শুক্রাণু একদম না থাকলে ও অলিগোঅ্যাসথেনোটেরাটোজুস্পার্মিয়া অসুখ থাকলে আইভিএফ তাড়াতাড়ি করিয়ে নেওয়া ভাল।
ক্রেডল ফার্টিলিটি সেন্টারের তরফে আইভিএফ করে বহু নিঃসন্তান দম্পতির কোলে সন্তান তুলে দেওয়া হয়েছে। এই সাফল্যের অন্যতম কারণ অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি ও মেশিন। আইভিএফের খরচ প্রায় এক লাখ। তবে কর্পোরেটের মতো নয়। রোগীর অবস্থা বুঝে বিবেচ্য।
[আরও পড়ুন: আইপিএল ফাইনালে মুক্তি পাবে ‘জওয়ানে’র ট্রেলার, ছবি নিয়ে বড় ঘোষণার পথে শাহরুখ!]
দেরিতে মা হতে চাইলে AMH – এগ ফ্রিজিং
বয়স বেড়ে গিয়ে মা হতে সমস্যার আতঙ্কে তড়িঘড়ি বিয়ে-সংসার-বাচ্চা নিয়ে দায়িত্ব সামলাতে হয় বহু মহিলাকে। আর স্যাক্রিফাইস করতে হবে না। নিশ্চিন্তে কেরিয়ার গড়ো মেয়েরা। শুধু বয়স তিরিশ ছুঁইছুঁই হলে বা তিরিশ পেরলোই প্রি-কনসেপশন কাউন্সেলিং করতে হবে। তখন চিকিৎসক AMH টেস্ট করে বুঝে নেন সেই মহিলার ওভারিতে কত ডিম্বাণু উপস্থিত রয়েছে। বয়স যত বাড়ে ডিম্বাণুর সংখ্যা তত কমে। তা খুব কমে গেলে চিকিৎসক তাড়াতাড়ি মা হওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সময় মা হতে না চাইলে মহিলারা নিশ্চিন্তে তাঁদের এগ ফ্রিজিং করে রাখতে পারেন। ২৮ বছর বয়সে এগ ফ্রিজিং করে সেই ডিম্বাণু দিয়ে আইভিএফ পদ্ধতিতে ৩৮ বছর বয়সে মা হয়েছেন এমন উদাহরণ প্রচুর রয়েছে।
আইভিএফে সিঙ্গল মাদার
বিয়ে-লিভ ইনের দরকার নেই। পুরুষসঙ্গী ছাড়াই এখন মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন মহিলারা। সিঙ্গল মাদার হতে চাইলে ক্রেডল ফার্টিলিটি ক্লিনিকে এসে কথা বলুন। স্পার্ম ডোনারের কাছ থেকে শুক্রাণু নিয়ে তা ওই মহিলার গর্ভে আইভিএফ করে প্রতিস্থাপন করা হয়। গোটা বিষয়টিই হয় এআরটি আইন মেনে। সিঙ্গল মাদার হতে চাইলে যে সব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তার ব্যবস্থাও করা হয়। মায়ের পছন্দ ও চাহিদা বুঝে ক্লিনিকের তরফ থেকেই এআরটি স্পার্ম ব্যাঙ্ক স্পার্ম নেওয়া হয়।
ক্রেডল ফার্টিলিটি সেন্টার
চেম্বার : জোকা, কসবা, হলদিয়া, বাঁকুড়া
যোগাযোগ : 7586045898