ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সার্স কোভ-২ বৃদ্ধি পেলেই বাড়বে ওমিক্রন, অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, বর্তমানে করোনার যত ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যাচ্ছে, তার অন্তত ৮০ শতাংশ ওমিক্রন। প্রশ্ন একটাই, আপনি যে ওমিক্রন আক্রান্ত তা বুঝবেন কীভাবে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেটা দেখে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রাথমিক ইঙ্গিত পেতে পারেন। তবে ইঙ্গিত যথেষ্ট নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জিনোম সিকোয়েন্সিংই শেষ কথা।
নিশ্চয়ই আপনার জানতে ইচ্ছা করছে কী সেই উপসর্গ, যা দেখে বোঝা যাবে আপনি করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে উপসর্গগুলি হল,
- হঠাৎ গলার স্বর বদলে যাওয়া
- গলা ব্যথা
- ভীষণ ক্লান্তিভাব
- অবসাদ
- গাঁটে ব্যথা
- ঠান্ডা লেগে যাওয়া
- শুকনো কাশি
- মাথা যন্ত্রণা
[আরও পড়ুন: ৪ বছরের পরকীয়ার পরও পালাতে নারাজ দেওর, পিংলায় আত্মহত্যা রাজমিস্ত্রির স্ত্রীর]
তবে ওমিক্রন আক্রান্তদের স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতির কোনও বদল হয় না। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, সর্দিতে নাক যদি ভিজে যায় তবে ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণের তেমন ভয় নেই। তবে শুকনো কাশি এবং স্বরভঙ্গ হলে দেরি করবেন না, অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করান। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ হলে দেরি না করে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে সরাসরি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হবে।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে কোভিড সংক্রমণ ৭০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন ডেল্টার থেকে কমপক্ষে ৫ গুণ বেশি সংক্রামক। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে আবার একটা বড় অংশ উপসর্গহীন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপসর্গ এবং উপসর্গহীন করোনা রোগীদের চিহ্নিত করতে হবে। কোভিড পজিটিভ হলেই তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে হবে।
এদিকে, ওমিক্রন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালকে আবারও কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে একযোগে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে পরতে হবে মাস্ক। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধি। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।