সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ একটা তিন চাকার অটো৷ অথচ তা থেকে নামার সময় কোনও যাত্রীই সেলফি তুলতে ভোলেন না৷ এই বিশেষ অটোটিতেও যে তিনি চড়েছিলেন, সে স্মৃতি রেখে দিতেই পছন্দ করেন সকলেই৷ কেন কী আছে সেই অটোয়৷ বরং বলা ভাল কী নেই৷ আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট সবই যেন মিলবে এই ‘নোয়ার নৌকায়’৷
কী কী পাওয়া যায় এই অটোয়? ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য মাল্টিপিন চার্জার থেকে লজেন্স, খবরের কাগজ, আঠা, কাগজ, কালি পেন, ডাস্টবিন-সবই৷ সিগারেট ও অ্যাসট্রেও মিলবে৷ এমনকী টুথপিক বা ইয়ারবাড খুঁজলে তাও পাওয়া যাবে৷ শুধু সিগারেট ছাড়া বাকি সবই মিলবে বিনামূল্যে৷ কেন এই ব্যবস্থা? অটো চালকের উত্তর, সব যাত্রীদের সুবিধার জন্যই এই আয়োজন৷
কে এই অটোচালক? তিনি রনজিৎ সিং৷ আগে একটা ভাড়ার অটো চালাতেন৷ কিন্তু সাধের সাজানো অটো প্রতিদিন মালিকের ঘরে ফেরত দিয়ে আসতে ভাল লাগত না৷ তাছাড়া শিফট শেষ হয়ে গেলে যাত্রীদের ফেরাতেও মন চাইত না৷ তাই কিনে ফেলেন নিজের অটো৷ তারপর গাঁটের পয়সা খরচ করে মনের মতো করে সাজিয়ে তোলেন অটো৷ সিংজি খেয়াল করেছেন, অটোয় বসে লোকে ফোনে কথা বলতে বলতেই, ঠিকানা বা ফোন নম্বরের জন্য লোকে নোটপ্যাড চায়৷ কারওর আবার টুথপিকের জন্য মনটা উসখুশ করে৷ আর তাই নিজের অটোয় সবকিছুই মজুত রাখেন তিনি৷ সবকিছু কিনতে ও ঠিকঠাক রাখতে খরচ হয় ঠিকই, কিন্তু সে সব পাত্তা দেন না তিনি৷ কেননা তাঁর কাছে পয়সাটাই সবকিছু নয়৷ যাত্রীদের কাছে এ জন্য অতিরিক্ত পয়সাও চান না তিনি৷ মিটারে যা ওঠে তাই৷ কেউ খুশি হয়ে অতিরিক্ত কিছু দিলে সেটা আলাদা ব্যাপার৷
আর এ কারণেই তিনি জনপ্রিয়৷ সিগন্যালে দাঁড়ালে অন্য অটোওয়ালারাও তাঁর সঙ্গে করমর্দন করতে নেমে আসেন৷ আর যাত্রীরা তাঁর অটো খেকে নেমে সেলফি একটা না তুলে যান না৷ চেনা ছকের দুনিয়ায় কেউ কেউ অন্যরকম হয়ে উঠতে পারেন৷ অটোকে নোয়ার নৌকা করে তোলা রনজিৎ সিংও তেমনই একজন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
The post ডিং থেকে ডং, সব আছে এই অটোওয়ালার গাড়িতে! appeared first on Sangbad Pratidin.