মিনার্ভা পাঞ্জাব- ১ (মইনুদ্দিন ৮৯’)
মোহনবাগান- ১ (সনি নর্ডি ৪২’)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীরে এসে ডুবল তরী। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও অন্তিম মুহূর্তের ভুলে আই লিগের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল মোহনবাগান। খেলা শেষের বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে মইনুদ্দিনের ভলি স্বপ্নভঙ্গ করল তামাম সবুজ-মেরুন জনতার। শেষপর্যন্ত মিনার্ভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ১-১ গোলেই অমিমাংসীত রইল মোহনবাগানের ম্যাচ।
চূড়ান্ত অব্যবস্থা। বিমান বিভ্রাট। ২৪ ঘণ্টা আগে একরাশ ক্লান্তিকে সম্বল করে লুধিয়ানা পৌঁছন বাগান ফুটবলাররা। এই সমস্ত কিছু সামলেই এদিন নিজেদের আই লিগ অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। লক্ষ্য একটাই ডার্বির আগে মূল্যবান তিন পয়েন্ট অর্জন করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখা। গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়ে শুরুটাও করেছিলেন বাগান অধিনায়ক সনি নর্ডি। কিন্তু শেষমুহূর্তের ভুলে মাটি করে দিল সবটাই।
একাধিক তারকা ফুটবলার চলে গিয়েছেন আইএসএলে। আর তাই একেবারে নতুন দল নিয়েই আই লিগের প্রথম ম্যাচে মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ভরসা বলতে ছিলেন একমাত্র সনি নর্ডি। আর সেই সনিই পরিত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন এদিনের ম্যাচে। আই লিগের প্রথম ম্যাচ হলেও এই ম্যাচে জিততেই হত মোহনবাগানকে। কারণ মির্নাভার পরের ম্যাচই ডার্বি। তাই এই ম্যাচের উপর অনেকখানি নির্ভর করছে ডার্বির ভবিষ্যৎ। আর তাই দল পাঞ্জাব রওনা হওয়ার আগে পাখি পড়ার মতো পইপই করে কর্তারা ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিন পয়েন্ট নিয়েই ফেরা চাই। নাহলে সর্বনাশ। ড্র হলেও মনোবলে চিড় ধরবে। শেষপর্যন্ত কিন্তু হল সেটাই।
[আম আদমির মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে রাহুল দ্রাবিড়, কুর্নিশ নেটদুনিয়ার]
যদিও এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করে মোহনবাগান। ক্রোমা-ডিপান্ডা ডিকা-সনি নর্ডি- এই ত্রিভুজেই আক্রমণভাগ সাজিয়েছিলেন বাগান কোচ সঞ্জয় সেন। উলটোদিকে, ধারেভারে পিছিয়ে থাকা মিনার্ভা ছিল রক্ষণাত্মক। ফল যা হওয়ার তাই হল। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন বাগান খেলোয়াড়রা। কিন্তু একাধিক সুযোগ নষ্ট হওয়ায় গোলের দেখা মেলে নি। গতবারের সর্বোচ্চ গোলদাতা ডিকাও এদিনের ম্যাচে খানিকটা নিঃস্প্রভ ছিলেন। এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার বাগান রক্ষণে হামলা করেছিলেন মিনার্ভার খেলোয়াড়রা। কিন্তু আসল কাজটি করতে পারেননি তাঁরা। শেষপর্যন্ত বিরতির কয়েক মিনিট আগে ডানদিক থেকে একক দক্ষতায় বল নিয়ে ওঠেন সনি। একের পর এক বিপক্ষ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গড়ানো শটে পরাস্ত করেন মিনার্ভার গোলকিপারকে।
[গোল রুটি বানানোর চেষ্টা ছোট্ট জিবার, হইচই নেটদুনিয়ায়]
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। একের পর এক গোল নষ্ট করেন বাগানের ফরোয়ার্ডরা। একদিকে সতীর্থদের জন্য দুর্দান্ত বল সাজিয়েছেন বাগান অধিনায়ক। অপরদিকে সেই সুযোগ হেলায় হারাতে থাকেন তাঁরা। সবচেয়ে সুযোগ নষ্ট করলেন মহামেডান থেকে চলতি মরশুমে বাগানে আসা ফৈয়াজ ফয়জল। ৮৪ মিনিটে একক দক্ষতায় বক্সের ভিতর ঢুকে পড়েন সনি। কিন্তু এরপর যে মাইনাসটি রাখলেন, সেটিতে পা ছোঁয়ালেই গোল হয়ে যেত। কিন্তু সেটিই করতে পারলেন না ফৈয়াজ। এরপর নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে মইনুদ্দিনের গোলে সমতা ফেরায় মিনার্ভা। আর তাতেই স্বপ্নভঙ্গ হল মোহনবাগানের। গোটা ম্যাচে এগিয়ে থেকেও মাঠে ফেলে আসতে হল মূল্যবান দু’পয়েন্ট। তবে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সনি নর্ডিই। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, সবে শুরু। এখনও অনেকটা পথ বাকি। তাই আই লিগ জিততে হলে ডার্বি থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে সঞ্জয় সেনের ছেলেদের। কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তাই তাঁদের আশা, ঠিক জয়ের সরণিতে ফিরবে মোহনবাগান।
[পূজারা-বিজয়ের জোড়া সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে ভারত]
The post আই লিগের শুরুতেই হোঁচট, মিনার্ভার কাছে আটকে গেল বাগান appeared first on Sangbad Pratidin.