সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী উত্তাপের মাঝেই হিজাব বিতর্কে মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৌলবাদীদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, শরিয়ত নয়, দেশের সংবিধান মেনে চলতে হবে। একইসঙ্গে, এই দেশে মৌলবাদের শাসন কোনওদিন স্থাপন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের মাঝেই কর্ণাটকের স্কুলের ক্লাসরুমে নমাজ পড়ুয়াদের! ভাইরাল ভিডিও]
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “শরিয়ত নয়, দেশের সংবিধান মেনে চলতে হবে। গজওয়া-ই-হিন্দ স্থাপন করার স্বপ্ন প্রলয় আসা পর্যন্ত সত্যি হবে না।” সম্প্রতি এআইএমআইএম দলের নেতা তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি মন্তব্য করেছিলেন যে একদিন হিজাব পরিহিত মহিলা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেই মন্তব্যের পালটা দিয়ে গোরক্ষনাথ মঠের প্রতাপশালী মোহান্ত যোগী বলেন, “এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন ভারত। এখানে উন্নয়ন হবে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি নয়। তিন তালাক প্রথা তুলে দিয়ে মহিলাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশের মেয়েদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে আমরা বলি, প্রশাসন সংবিধান মেনে চলবে, শরীয়ত আইন মেনে নয়।”
বলে রাখা ভাল, গজওয়া-ই-হিন্দ কথাটির অর্থ হচ্ছে ইসলামিক ভারত। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ভারতে শরিয়ত চালু করাই এই মৌলবাদী আন্দোলনের উদ্দেশ্য। এই বিষয়ে একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ইতিমধ্যে তৎপর বলেও আগেই জানা গিয়েছে। এবং স্বাভাবিকভাবেই, দেশের মুসলিম জনতাকে মগজধোলাই করে জেহাদের নামে সন্ত্রাসবাদের জালে জড়িয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে, হিজাব ছাড়াও এদিন পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়টিও তুলে ধরেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশে শান্তিপূর্ণ ভোটদান হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় নির্বাচন চলাকালীন ও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা সবার জানা। একইসঙ্গে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। যোগীর কথায়, কংগ্রেস দলটিকে শেষ করে দিতে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীই যথেষ্ট।