সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তায় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর গুলিযুদ্ধের মাঝে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। সোমবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডির (Dhanmandi) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ভুবনচন্দ্র শীলের। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। গত সোমবার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসবাদীদের ছোঁড়া গুলিতে মাথায় আঘাত পান ভুবন। গত ৭ দিন ধরে তিনি এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাণে বাঁচানো যায়নি। এদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু (Death) হয়েছে।
গত সোমবার রাতে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় শীর্ষ সন্ত্রাসবাদী (Terrorists) তারিক সইদ ওরফে মামুনের ব্যক্তিগত গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে একদল সন্ত্রাসবাদী। ওই সময় মোটরবাইক নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরার সময় মাথায় গুলি লাগে ভুবনের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধানমন্ডির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আইসিইউ-তে (ICU) চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালেই ছিলেন ভুবনের স্ত্রী রত্না ও মেয়ে ভূমিকা।
[আরও পড়ুন: ফের নতুন রূপে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস! হুঁশিয়ারি চিনের ‘বাদুড়-মানবী’র]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে ৩ ঘণ্টা ধরে ভুবনের মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর জানানোর কথা ছিল চিকিৎসকদের। তবে রবিবার বেলা ১১টা থেকে ভুবন অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ভুবন চিকিৎসায় কোনও সাড়া দিচ্ছেন না। এরপর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভুবন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিযুদ্ধের (Shootout) মধ্যে পড়েই বছর বাহান্নর ভুবনের মৃত্যু হল বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।