সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ বছরের তরুণী পূজা কুমারীর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় পাকিস্তান (Pakistan)। সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই হিন্দু তরুণীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর তাঁর দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। অভিযোগ, ওয়াহিদ বক্স লাশারি নামের অভিযুক্ত পূজাকে ধর্মান্তরিত (Conversion) করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়াতেই সে খুন করে ওই তরুণীকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমরান সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, ইমরানের আমলে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? পাকিস্তানের সংবাদমাধ্য়মগুলির দাবি, ওয়াহিদ ঘটনার দিন পূজার বাড়ি গিয়েছিল। সেখান থেকে পূজাকে অপহরণের চেষ্টা করছিল সে। কিন্তু পূজা আপত্তি করায় বন্দুক বের করে তাকে গুলি করে অভিযুক্ত। তারপর দেহটি ফেলে দেয় রাস্তায়।
ইতিমধ্যেই ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে ‘জাস্টিস ফর পূজা’ (justice for Pooja)। যদিও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে। কিন্তু তার কঠোর সাজার দাবিতে সরব পূজার পরিবার।
[আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, লোকসভায় ওয়াকআউট তৃণমূল সাংসদদের]
সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পূজা কুমারীর হত্যাকাণ্ড ঘিরে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। দেশের নানা প্রান্তেই পূজার খুনির কঠোর শাস্তির দাবি করে মিছিল বেরিয়েছে। মিছিলে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে, ‘ইনসাফ দো, দহেশতগর্দি বন্ধ করো।’
ভিনগাস নামের এক পাক সাংবাদিক তাঁর টুইটারে ক্ষোভ উগরে লিখেছেন, ”’আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এটা দেখে যে ক’জন রাজনীতিবিদ এর প্রতিবাদ করলেন” কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনও সেই অর্থে এই খুনের প্রতিবাদ করেনি বলেও অভিযোগ তাঁর।
পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর এক রিপোর্ট বলছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পাকিস্তানের সমস্ত প্রদেশেই সংখ্যালঘুদের প্রতি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। দেখা গিয়েছে, এই সময়কালে ১৬২টি সংখ্যালঘু মহিলার অন্য ধর্মে বিয়ের ক্ষেত্রে ৪৬ শতাংশই ১৮ বছরের কমবয়সি।