shono
Advertisement

হিন্দু সংখ্যায় কম হলে, রাজ্য সংখ্যালঘু ঘোষণা করতেই পারে, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

সংখ্যালঘু সংক্রান্ত একটি মামলায় উঠে এল এই প্রসঙ্গ।
Posted: 08:43 AM Mar 29, 2022Updated: 08:43 AM Mar 29, 2022

স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করে হিন্দুদেরও (Hindu) ‘সংখ্যালঘু’ হিসাবে ঘোষণা করতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। কারা সংখ্যালঘু (Minor)? এই মর্মে এক জনস্বার্থ মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই কথা জানাল কেন্দ্র। শুধু জম্মু-কাশ্মীরই নয়, পাঞ্জাব, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ ও লাদাখ– এই আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও হিন্দুদের সংখ্যা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে কম।

Advertisement

সংখ্যালঘু হিসাবে উল্লেখ না থাকায়, খাতায়-কলমে সংরক্ষণ থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। একইভাবে নিজেদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনাও করতে পারেন না হিন্দুরা। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের রেশ বিধানসভায়, তৃণমূল-বিজেপির হাতাহাতিতে নাক ফাটল বিধায়কের, ভাঙল চশমাও]

তিনি তাঁর হলফনামায় বলেন, হিন্দুরা যেখানে সংখ্যাগুরু সেখানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যালঘুর সুযোগ-সুবিধা পেলেও যেসব রাজ্যে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু, সেখানে তা পাওয়া যায় না। অথচ এই সুযোগ-সুবিধা তাঁদের অধিকার। আবেদনকারী তাঁর হলফনামায় বেশ কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন। যেখানে ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকারের ইহুদিদের সংখ্যালঘু হিসাবে ঘোষণা করার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটক সরকারের উর্দু, তেলুগু, মালয়ালম, তামিল, মারাঠি, টুলু ইত্যাদি ভাষাকে তাদের রাজ্যে সংখ্যালঘু ভাষা হিসাবে উল্লেখ করার প্রসঙ্গও রাখা হয়েছে।

মামলাটি দায়ের হওয়ার পর এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। জবাবে ভারতীয় সংবিধানের ২৯ ও ৩০ নম্বর ধারা অবলম্বন করে কেন্দ্র বলে, কোনও সম্প্রদায় বা ভাষাভাষী গোষ্ঠী সংখ্যালঘু কিনা, তা নির্ধারিত হয় রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে। তাই যে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে তাঁদের এই হিসাবে চিহ্নিত করতেই পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। হলফনামায় টিএমএ পাই-সহ অন্যান্য মামলার রায়দানের উল্লেখও করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মাত্র ৪ দিনেই শেষ দাম্পত্য, পরিবারের অমতে বিয়ের পর আত্মঘাতী নবদম্পতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement