সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিসের ব্যস্ততা, সংসার খুঁটিনাটি, পরিস্থিতির যাঁতাকলে পড়ে ঘরদোর রয়েছে অবহেলায়? পরিষ্কার করার সময়ই পাচ্ছেন না একদম! কুছ পরোয়া নেহি! ঘর পরিষ্কার করাকে এবার আরও সহজ করে নিন। রইল গৃহকোণ ঝকঝকে করার টিপস।
১) প্রথমেই ব্যস্ত শিডিউল থেকে একটা লিস্ট তৈরি করে নিন। কোনদিন কোনদিকটা বা কোন ঘরটা পরিষ্কার করবেন? এবার সপ্তাহের একেকটা দিন টাইম বের করে সেটা করার চেষ্টা করুন।
২) একদিনেই গোটা বাড়ির ময়লা পরিষ্কার করার ঝক্কি নেবেন না। এতে আপনার উপর চাপ পড়বে। শুরু করুন নাহয় সিলিং এবং ফ্যান থেকে। মাথায় এবং নাকে কাপড় বেঁধে লম্বা ঝুল ঝাড়ু নিয়ে পরিষ্কার করুন।
৩) পরের দিন নাহয় কার্পেট, সোফা, ইত্যাদি পরিষ্কার করলেন। ঘরের মেঝেতে কার্পেট থাকলে তার উপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন দুর্গন্ধ দূর হয়েছে। সোফাসেটের উপর ভ্যাকুম চালিয়ে নিন। যতক্ষণ এটা করবেন ততক্ষণ কার্পেটটাতে সোডা ছড়িয়ে রাখুন। শেষ হলে কার্পেট ধরুন। ব্যস সেদিন এটুকুই থাক।
৪) আসবাবপত্র পরিষ্কার করার জন্য পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। কাঠের আসবাব হলে মোটেই সেটা কাপড় ভিজেয়ে মুছবেন না। এতে পালিশ নষ্ট হয়। শুকনো কাপড় বা ছোট হাতঝাড়ু আজকাল পাওয়া যায়। এতে আসবাবপত্রে লেগে থাকা ময়লা জলদি দূর হবে। পেলমেট থাকলে সেটাও ঝাড়ু দিয়ে ঝেড়ে নিন।
[আরও পড়ুন: হেঁশেলে সময় বাঁচাতে চান? এই টিপসগুলো মেনে চললেই কেল্লাফতে! খাটুনিও অর্ধেক]
৫) আয়না পরিস্কারের জন্য গ্লাস ক্লিনার বা জলে সামান্য শ্যাম্পু দিয়েও পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে কাচ মুছে দিন। পেপার বা কাগজ ভেজিয়ে মুছলেও ভালো পরিষ্কার হয়। এতে দাগ হবে না এবং আয়না ঝকঝকে দেখাবে।
৬) পর্দা কাচতে চাইলে ওয়াশিং মেশিনে দিন। ততক্ষণে জানলার কাচ পরিষ্কার করে নিন।
৭) পরিশেষে খাটের নীচে বা কোণে জমে থাকা ময়লা যেখানে রোজ হাত পৌঁছয় না, সেটা পরিষ্কার করে নিন।