shono
Advertisement

Breaking News

নাসিকের মতো বাংলাতেও স্বল্প মূল্যে পিঁয়াজ সংরক্ষণের উদ্যোগ, গড়া হবে ৪০ টি কেন্দ্র

কৃষকদের আয় বাড়াতেই উদ্যোগ উদ্যানপালন দপ্তরের। The post নাসিকের মতো বাংলাতেও স্বল্প মূল্যে পিঁয়াজ সংরক্ষণের উদ্যোগ, গড়া হবে ৪০ টি কেন্দ্র appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:31 PM Feb 20, 2020Updated: 07:31 PM Feb 20, 2020

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পিঁয়াজ ওঠার সময় সেভাবে দাম পান না কৃষকরা। ফলে টাকার আশায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন অনেকেই। কয়েকমাস পরে বাজারে পিঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হলেও, তার সুফল সাধারণত পেতেন না কৃষকরা। সংরক্ষণের অভাবে কম লাভ পেতেন তাঁরা। এবার পিঁয়াজ তোলার আট মাস পর্যন্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে উদ্যানপালন দপ্তরের উদ্যোগে। কৃষকের বাড়িতেই ভরতুকিতে পিঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প মূল্যের ৫০ শতাংশ ভরতুকি দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৪০টি এই ধরনের স্বল্প মূল্যের পিঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৫টি এমন কেন্দ্র তৈরিও হয়ে গিয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে বাকিগুলি তৈরি করা হচ্ছে বলে উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। নাসিকে এই পদ্ধতিতে পিঁয়াজ সংরক্ষণ করে লাভবান হয়েছেন সেখানকার কৃষকরা। সেই মডেলেই এবার চালু হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

Advertisement

প্রতিটি পিঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। কৃষক তাঁর নিজস্ব জায়গায় সেটি গড়ছেন। সেটি তৈরি হওয়ার পর ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা ভরতুকি কৃষককে দিচ্ছে উদ্যানপালন দপ্তর। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় এই সহায়তা দিচ্ছে উদ্যানপালন দপ্তর। প্রতিটি পিঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্রে ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। অর্থাৎ ৪০টি সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু হলে জেলায় মোট ১ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এখানে পিঁয়াজ তোলার পর ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত রাখা যাবে। ফলে বাজারে যখন পিঁয়াজের দাম বেশি থাকবে সেই অনুযায়ী কৃষকরা তা বিক্রি করে ভাল লাভ করার সুযোগ পাবেন। এই পদ্ধতিতে সংরক্ষণে স্বল্প পরিমাণ পিঁয়াজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কৃষকরা যা দাম পান তাতে তা পুষিয়ে যায়।

[আরও পড়ুন: কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থাকলেই কেল্লাফতে! পশুপালন-মাছ চাষে সহজেই মিলবে ব্যাংক ঋণ]

উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার কালনা-১ ও ২, পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লকে মূলত পিঁয়াজ চাষ হয়। অন্যান্য ব্লকে হলেও তা কম পরিমাণ হয়। এবার জেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষ হয়েছে। গতবারের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে এবার। সাধারণত মার্চ-এপ্রিলে পিঁয়াজ উঠতে শুরু করে। সেই সময় সাধারণত কৃষকরা প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ৫ থেকে ৬ টাকার বেশি পান না। কিন্তু সেই পিঁয়াজই বর্ষার পর থেকে পুজোর সময় পর্যন্ত কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ জমি থেকে তোলার পর ৬ থেকে ৮ মাস সেই পিঁয়াজ নিজের ঘরে রাখতে পারলে ভাল দাম পেতে পারেন কৃষক। উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক পলাশ সাঁতরা জানান, স্বল্প মূল্যের পিঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্রে তা রাখতে গেলে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। জমি থেকে পিঁয়াজ তোলার ১০ দিন আগে সেচ বন্ধ রাখতে হবে। তোলার পরে ছায়াতে ৮ থেকে ১০ দিন রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। পিঁয়াজের পাতা এক ইঞ্চি মতো রেখে কাটতে হবে। সংরক্ষণের আগে ছত্রাকনাশক স্প্রে করে নিতে। এইসব নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করলে উপকৃত হবেন কৃষকরা। জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল জানান, কৃষকরা যাতে ভাল আয় করতে পারেন তার জন্য ভরতুকিযুক্ত এই প্রকল্পে সহায়তা করা হচ্ছে।

The post নাসিকের মতো বাংলাতেও স্বল্প মূল্যে পিঁয়াজ সংরক্ষণের উদ্যোগ, গড়া হবে ৪০ টি কেন্দ্র appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement