সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিন কম পক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ কোভিড (Covid) আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। অতিমারী শুরু হওয়ার পরে এই প্রথমবার এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন চিনে (China)। স্থানীয় প্রশাসনের সূত্র মারফত কোভিডের ভয়াবহতার বিষয়টি জানা গেলেও মুখে কুলুপ এঁটেছে চিনের সরকার। প্রতিদিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে সেদেশের সরকার। জানানো হয়েছে, কোভিড আক্রান্ত হয়ে একজনেরও মৃত্যু হয়নি চিনে। কিন্তু সূত্র মারফত অন্য খবর জানা যাচ্ছে।
যেসমস্ত ব্যক্তির কোনও উপসর্গ নেই, তাঁদের কোভিড আক্রান্ত হিসাবে ধরছে না চিন প্রশাসন। তা সত্বেও হাসপাতালগুলিতে কোভিড আক্রান্তের ভিড় উপচে পড়ছে। আইসিইউ-সহ হাসপাতালের একাধিক জরুরি বিভাগের ডাক্তারদের দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হচ্ছেন না কোভিড আক্রান্তরা, তার ফলে হাসপাতালে ভরতি করা যাচ্ছে না অন্যদের। একজন চিকিৎসকের মতে, এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি ছিল না চিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার।
[আরও পড়ুন: ‘বরং মাথা কেটে নিন’, বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশে তালিবানি ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব আফগান মহিলারা]
নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ব্যবস্থাও করেনি চিন। গত কয়েকদিনে যত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই ভ্যাকসিন নেননি। আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল সমালোচিত হচ্ছে চিনের কোভিড নীতি। এহেন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কোভিড সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। প্রতিদিন সেদেশে কতজন মানুষ হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন, সেই সংখ্যা গোপন রেখেছে চিন সরকার। হু-য়ের মতে, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে যে, হিসাব রাখতে পারছে না চিনের স্বাস্থ্য কর্তারা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইল-ডিং। তিনি বলেছিলেন, মাত্র তিন মাসের মধ্যেই চিনের (China) ৬০ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন। এই তিন মাসে চিনের লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হবে বলেও দাবি করেন তিনি। জনস্বাস্থ্য নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাচ্ছে না কমিউনিস্ট পার্টি। তারা চাইছে, প্রাথমিক পর্যায়ে লাগামছাড়া ভাবেই আক্রান্ত হোক সাধারণ মানুষ। তাই সংক্রমণে রাশ টানতে সেরকম কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার, এমনটাই অনুমান এরিক ফেইল-ডিংয়ের।