সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। সন্ধে সওয়া সাতটা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা শপথ নেবেন। ওই অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি বহু অতিথি আমন্ত্রিত। সার্বিকভাবে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত হয়েছে রাজধানীজুড়ে। কার্যত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের আশেপাশের এলাকাকে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গোটা রাজধানীতেই আঁটসাঁট নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ঠিক যেভাবে জি-২০ বৈঠকের আগে গোটা রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল, সেভাবেই এবারও গোটা রাজধানীকে কার্যত নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার সব থেকে বাইরের স্তরে থাকবে দিল্লি পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী। দ্বিতীয় স্তরে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোরা। সবচেয়ে ভিতরের বলয়ে থাকবেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসপিজি।
[আরও পড়ুন: শরিকি চাপে নিজের দলেই কাটছাঁট! মোদির সঙ্গে শপথ নেবেন কারা?]
মোদির শপথে যোগ দিতে ৭ দেশের রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শনিবার রাত থেকেই তাঁদের আগমণ শুরু হবে। রাজধানীর বড় বড় হোটেলে রাখা হবে তাঁদের। সেই হোটেলগুলির সামনেও কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শনিবার বিকাল থেকেই রাষ্ট্রপতি ভবনের আশেপাশের এলাকাকে নো ফ্লাই জোন হিসাবে ঘোষণা করা হবে।
[আরও পড়ুন: গতি হারাচ্ছে বন্দে ভারত! কেন মন্থর হয়ে পড়ছে দেশের দ্রততম ট্রেন?]
এদিকে রাজধানীর উপর নজর রাখতে রবিবার সকাল থেকেই সক্রিয় হয়ে যাবে বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার ‘আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে’র হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টারগুলিতে এনএসজি এবং সেনার আধিকারিকরা থাকবেন। দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বহুতল ভবনগুলিতে এনএসজি এবং সেনার স্নাইপারদের মোতায়েন করা হবে। এবার মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বিপুল জনসমাগমের মধ্যে শপথ নেবেন। প্রত্যেক আমন্ত্রিতকেও তল্লাশি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে।