সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদ ছুঁয়েছে ভারত! আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। এমনকী বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের রহস্যময় দক্ষিণমেরুতে অবতরণ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের এই যুগান্তকারী সাফল্যে চমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। সকলে জানতে চাইছে, এত বড় সাফল্যের কারণ কী? চমকে দেওয়া উত্তর দিয়েছেন ইসরোর এক বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন, এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে মশলা ধোসা ও ফিল্টার কফি। ব্যাপারটা কী?
ইসরোর চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পের অন্যতম বিজ্ঞানী বেঙ্কটেশ্বর শর্মা। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট সাক্ষাৎকর নেয় তাঁর। সেখানেই মহাকাশ অভিযানের সাফল্য প্রসঙ্গে মজাদার উত্তর দেন তিনি। তবে কিনা বাস্তব পরিস্থিতিও বুঝিয়ে দেন। জানান, কর্মীদের আর্থিকভাবে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষমতা নেই ইসরোর। যদিও কাজের প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় থাকতে হত বিজ্ঞানীদের। এর জন্য তাঁরা অতিরিক্ত অর্থ পাননি। তবে বিকেলে বিনামূল্যে মশলা ধোসা এবং ফিল্টার কফি পেতেন। বেঙ্কটেশ্বর শর্মা বলেন, “মশলা ধোসা আর ফিল্টার কফি পেলেই সকলে খুশি মনে অতিরিক্ত সময় অফিসে থাকতেন।”
[আরও পড়ুন: ফোনে কথা বলতে বারণ করেছিলেন স্বামী, অভিমানে ছ’তলা থেকে ঝাঁপ নববধূর]
ওয়াশিংটন পোস্টকে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান মাধবন নায়ারও জানান, আর্থিক বাধ্যকতায় শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসের পিছনেই ব্যয় করে থাকে ইসরো। যদিও বিদেশের যে কোনও সংস্থার বিজ্ঞানীদের থেকে বেশি পরিশ্রম করেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য, ভারতের মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা সামান্য বেতন পান। তা ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার বেশি নয়, বিষয়টি আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। এই ব্যাপারে বিরোধীরা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল। এখন দেখার, চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর ইসরোর মেধামী সদস্যদের আর্থিক অবস্থার বদল হয় কিনা।