স্টাফ রিপোর্টার: ক্যালেন্ডার বলছে ফাগুন মাস। ঋতু বসন্ত। কিন্তু আবহাওয়া ঋতুচক্রকে মানছে কই। বসন্তেও ভিজছে রাজ্য। আর এই ঋতু পরিবর্তনের জেরে দাপট দেখাচ্ছে নানা অসুখ। কীভাবে এড়াবেন এই অসুস্থতা? উপায় বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি—সহ কিছু পরিচিত অসুখ দেখা যায়। এই সময় বসন্তের প্রকোপ থাকে। তার উপর রয়েছে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেগতিক হতে পারে স্বাস্থ্য। তাই এখন স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষত শিশু এবং বয়স্কদের। করোনাকালে হাওয়া বদলকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: দাদার নজর এড়িয়ে হবু বউদির সঙ্গে প্রেম ও সহবাস, বিয়ের পরই শ্রীঘরে ভাই]
কীভাবে এড়াবেন রোগভোগ? কী কী সতর্কতা নেবেন? উপায় বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দির পাশাপাপাশি ভাইরাসের দাপট থাকে। এই সময় বসন্তের মতো রোগ দেখা দেয়। তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য অনেকে গরম পোশাক খুলে ফেলেন। এতে আরও বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। এখন কোনও ভাবে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। এসি, শীতল পানীয়, দই, আইসক্রিম এড়িয়ে চলাই ভাল।”
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র বলেন, “কাশি হলে এই সময় বাড়িতে শুকনো আদা পিপুলচূর্ণ কিংবা গোলমরিচ দিয়ে জল ফুটিয়ে গার্গল করতে হবে। যষ্ঠি মধু, খুদিরের বড়ি, তালমিছরি, তুলসী পাতা এগুলো খেতে হবে। সর্দি হলে অনুতেল কিংবা সরষের তেল নাকে টানলে উপকার মিলবে। সহজ পাচ্য খাবার খেতে হবে। এই সময় দুপুরে ঘুমানো উচিত নয়। হজমশক্তি কমিয়ে দেয়। ফলে গ্যাস—অম্বলের মতো রোগ দেখা দিতে পারে।” একটি হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান, চিকিৎসক সংযুক্তা দত্ত বলেছেন, “অ্যালার্জি বা হাঁপানির সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের এখন সবচেয়ে বেশি সতর্ক হওয়া দরকার। এই আবহাওয়া বদলের সময় ভাইরাল ইনফেকশন বেশি হয়। সকালের দিকে বাইরে বের না হওয়াই ভাল।”