সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) মোকাবিলায় টিকাকরণে জোর দেওয়ার পর থেকেই বাড়ছে ভুয়ো ভ্যাকসিনের রমরমা। ক্যাম্প তৈরি করে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিক। এ রাজ্যের পাশাপাশি অন্য রাজ্যেও এমন কাণ্ডের কথা শিরোনামে উঠে এসেছে। ভুয়ো টিকার রমরমা রুখতে এবার নয়া গাইডলাইন জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এবার অনায়াসেই আসল এবং ভুয়ো ভ্যাকসিনের মধ্যে তফাত বোঝা যাবে। বর্তমানে তিনটি ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) পাচ্ছেন ভারতীয়রা। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের নিজস্ব টিকা কোভ্যাক্সিন এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভি। কী কী বিষয় দেখে চিহ্নিত করা যাবে টিকা ভুয়ো না আসল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোভিশিল্ড:
১. ভায়ালে সেরামের (SII) লেবেল থাকবে।
২. লেবেলের রং কালচে সবুজ (shade: Pantone 355C)। অ্যালুমিনিয়ামের ফ্লিপ অফ শিলের রংও কালে সবুজ।
৩. COVISHIELD ব্র্যান্ডের নামটি বড় করে লেখা।
৪. CGS NOT FOR SALE ওভার প্রিন্ট করা রয়েছে।
৫. SII লোগোটি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট স্থানে ছাপা হয়। যাঁরা ভ্যাকসিন দেন, তাঁরা সেটি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
৬. ভায়ালের উপর লেখার জন্য বিশেষ সাদা কালি ব্যবহার করা হয়, যাতে স্পষ্টভাবে পড়া যায়।
৭. লেবেলটিকে স্পেশ্যাল হানিকম্ব টেক্সচার এফেক্ট দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট দিক থেকেই চোখে পড়ে।
৮. হানিকম্ব ডিজাইনটি কিছু ক্ষেত্রে এমনভাবে ব্য়বহার করা হয়, যাতে সকলের চোখে ধরা পড়বে না। যাঁরা এই বিষয়গুলির সঙ্গে জড়িত, তাঁরাই বুঝবেন।
[আরও পড়ুন: রাগ-দুঃখ বা খুশি, কোনও আবেগই অনুভূত হচ্ছে না? এখনই সাবধান না হলে ফল মারাত্মক]
কোভ্যাক্সিন:
১. শুধুমাত্র UV লাইটের নিচে আনলেই লেবেলের উপরের UV হেলিক্স দেখতে পাওয়া যায়।
২. Covaxin-এর X অক্ষরে গ্রিন ফয়েল এফেক্ট রয়েছে।
৩. COVAXIN-এ রয়েছে হলোগ্রাফিক এফেক্টও।
স্পুটনিক ভি (SPUTNIK V):
১. রাশিয়ার দু’টি আলাদা জায়গা থেকে আসায় এই ভ্যাকসিনের উপর লেখা অন্যান্য তথ্য এক হলেও শুধুমাত্র প্রস্তুতকারকের নাম আলাদা।
২. পাঁচ অ্যাম্বিউল প্যাকের লেবেলে ইংরাজি ভাষা দিয়ে লেখা থাকে, অন্য সব জায়গায় রাশিয়ান ভাষায় লেখা থাকে।