সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির মিছিল থেকে বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বেআইনি। প্রাথমিক তদন্তে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সে কথাই জানাল হাওড়া সিটি পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরির। তা জেলার বাইরে বের করার কোনও অনুমতি নেই। অথচ ধৃত বলবিন্দর সিং সেটিকে বাংলায় নিয়ে চলে এসেছে। স্বাভাবিকভাবে তাই ওই আগ্নেয়াস্ত্রটিকে বেআইনি বলেই দাবি করছে পুলিশ।
বিজেপির নবান্ন (Nabanna) অভিযান নিয়ে শুরু থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার রীতিমতো তাণ্ডব চলে বাংলায়। যদিও বিজেপির অভিযোগ, এসবই ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্য সরকারের তরফে করা হয়েছে। এদিকে, বিজেপির মিছিলকারীর কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। আর সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই চলছে রাজনৈতিক আকচাআকচি। যদিও বিজেপির তরফে প্রথমে দাবি করা হয়েছিল এসবই তৃণমূলের চক্রান্ত। পরে যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স রয়েছে। সৌমিত্র খাঁর দাবিও প্রায় একইরকম। তিনি জানান, ধৃত বলবিন্দর সিং আদতে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার বাসিন্দা। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার নেতা প্রিয়াংগুর দেহরক্ষী। একজন দেহরক্ষীর কাছে বন্দুক থাকা স্বাভাবিক বিষয় বলেই জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার দেহরক্ষীর কাছেও বন্দুক থাকা নিয়ে কার্যত ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তোলার চেষ্টা করছে।
[আরও পড়ুন: উপসর্গ ছাড়াই করোনা পজিটিভ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গাড়ির চালক, সুস্থও]
যদিও হাওড়া সিটি পুলিশ (Howrah city police) পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় জানিয়ে দেয়, এই পিস্তলটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকই। তবে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসকের দপ্তর থেকে ওই অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে অস্ত্রটি জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি। সেক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওই বন্দুকটি হাওড়ায় নিয়ে আসাই বেআইনি। তাই নবান্ন অভিযানে স্রেফ অশান্তি পাকাতেই বলবিন্দর অস্ত্র হাতে মিছিলে উপস্থিত ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিজেপি নবান্ন অভিযানে প্রথম গন্ডগোল শুরু হয় সাঁতরাগাছিতে। সেখানে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পালটা রং মেশানো জল স্প্রে করে পুলিশকর্মীরা। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি। বারবার দফায় দফায় জিটি রোড, হাওড়া ময়দান এবং হাওড়া ব্রিজেও তৈরি হয় অশান্তি। হাওড়া ময়দানে গন্ডগোল চলাকালীন পুলিশ এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে। সে মাটিতে পড়ে যায়। সেই সময়ই তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।