সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের মন পেতে মরিয়া চিন। কৌশলগতভাবে ভারতকে ঘিরে ফেলতে লালফৌজের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ঢাকা। লক্ষণীয়ভাবে, গত মাসে ঢাকা ও বেজিংয়ের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে আশ্বস্ত করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বন্ধু’ ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সেনাবাহিনী ও ভারতীয় জনগণের সমর্থন ও ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন হাসিনা। দারিদ্রকে প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দারিদ্র এই অঞ্চলের জনগণের প্রধান শত্রু এবং এই অঞ্চলের দেশগুলিকে দারিদ্র দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” হাসিনা আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: নির্মম! স্বজাতি কিশোরের হাতের কবজি কেটে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি রোহিঙ্গাদের]
এদিনের বৈঠকে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, “প্রতিরক্ষাশিল্প খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা খুব ভালভাবে এগিয়ে চলেছে।” জেনারেল মনোজ পাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, “আগামী দিনেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে।” জেনারেল মনোজ পাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মহম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মহম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিঁয়া উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে অস্ত্র রপ্তানিতে শীর্ষে আমেরিকা। বিশ্বে হাতিয়ারের ব্যবসায় প্রায় ৩৭ শতাংশ দেশটির দখলে। তারপরই রয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এবার বাজার দখলের লড়াইয়ে উঠে পড়ে লেগেছে চিন (China)। বিগত দশকে দেশটি থেকে প্রচুর হাতিয়ার কিনেছে বাংলাদেশ। তবে সেগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।