আলাপন সাহা, দুবাই: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলছে। টুর্নামেন্ট শুরুর অনেক আগে থেকে এটা নিয়ে চর্চা চলছিল। কিন্তু ভারত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, তারা কোনও অবস্থাতেই পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না। একটা সময় পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে গিয়েছিল। তারপর অবশ্য একটা মধ্যস্থতা হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, আগামী ২০২৭ পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ সব নিরপেক্ষ কেন্দ্রে হবে। সামনের বছর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। সেখানে অবশ্য ভারতের সঙ্গে যুগ্ম আয়োজক হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে পাকিস্তান নিজেদের ম্যাচ যে শ্রীলঙ্কায় খেলবে-তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু মুশকিল হল, এ বছর আবার ভারতেই মহিলা বিশ্বকাপ রয়েছে।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, তাহলে পাকিস্তানের মহিলা টিম কী করবে? তারা কি ভারতে যাবে? পুরোটাই নির্ভর করছে পাকিস্তান টুর্নামেন্টের মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে কি না, তার উপর। অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরু হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা-এই ছ'টা টিম ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। পাকিস্তানকে এখন কোয়ালিফায়িং রাউন্ড খেলতে হবে। যে রাউন্ডে মোট ছ'টা টিম খেলবে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড। এই ছ'টা টিমের মধ্যে থেকে দুটো টিম মূল রাউন্ডে যাবে। যে কোয়ালিফায়িং পর্ব শুরু হবে ৪ এপ্রিল। তা চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
আইসিসি এখন তাকিয়ে রয়েছে ওই কোয়ালিফায়িং রাউন্ডের দিকে। আইসিসির অন্দরমহলে খবর নিয়ে জানা গেল, পাকিস্তানের মহিলা টিমও কোনওভাবেই ভারতে যাবে না। ফলে তাদের জন্য নিরপেক্ষ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে। আইসিসি ইতিমধেই এটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। কারণ পাকিস্তান যদি কোয়ালিফাই করে যায়, তাহলে প্ল্যান 'বি' যাতে তৈরি করে রাখা যায়। আপাতত দুটো কেন্দ্র নিয়ে ভাবনা-চিন্তা রয়েছে। বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। কারণ দুবাইয়ে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ করতে হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সেটা সমস্যা হতে পারে। কারণ দুবাই থেকে ভারতে যেতে প্রায় চার ঘণ্টার মতো সময় লেগে যায়। তাই বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার কথা ভেবে রাখা হচ্ছে।
আইসিসি-র কেউ কেউ বলছিলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই যোগ্যতা অর্জন পর্ব হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই ঠিক করা যাচ্ছে না। কারণ পাকিস্তান কোয়ালিফাই করলে এরকম সূচি করা হতে পারে। আবার পাকিস্তান যোগ্যতা অর্জন না করতে পারলে অন্যরকম। তাই আপতত ওই যোগ্যতা অর্জন পর্বের দিকে তাকিয়ে আইসিসি।