সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাবর্তন নয়। চলতি বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) মঞ্চে এ একেবারে সোজাসুজি মহাপ্রত্যাবর্তন! মহাষ্টমীর আগে কাপ যুদ্ধের চার-চারটে ম্যাচ খেলে ফেলেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। কিন্তু একটা ম্যাচেও মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) খেলানো হয়নি। যতই টিম জিতুক, অনেকেরই মনে হচ্ছিল শামিকে না খেলানোটা গর্হিত অপরাধতুল্য। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট শার্দূল ঠাকুরকে (Shardul Thakur) খেলাচ্ছিল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) না খেললে। আর বারবার বাদ পড়ছিলেন শামি।
শেষ পর্যন্ত ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে মাঠে নামলেন শামি। সেই শার্দূলেরই জায়গায়। আর নেমে কী বোলিংটাই না করলেন! পাঁচ-পাঁচটা উইকেট তুলে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংকে একা ভাঙলেন তিনি। একটা সময় তিনশোর দিকে ছুটছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তারা যে শেষ পর্যন্ত ২৭৩ রানে আটকে গেল, তার প্রধান কারণ ‘সহেসপুর এক্সপ্রেস’। ৫৪ রান দিয়ে পাঁচটা উইকেট যিনি তুললেন না, একটা হ্যাটট্রিক সুযোগের সামনেও দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: এক বছরে ৫০ ছক্কা! প্রথম ভারতীয় হিসাবে নজির, গেইল-ডি’ভিলিয়র্সকে টপকানোর দৌড়ে রোহিত]
দেখতে গেলে সামি ভয়ংকর না হয়ে উঠলে ভারত জিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়ে বেরোত কিনা সন্দেহ! খুব স্বাভাবিকভাবে আর কাউকে ম্যাচ সেরা বাছা সম্ভব ছিল না। খেলা শেষে সামি বলে দেন, “বেশ কিছু দিন পর প্রথম একাদশে ফিরলে দ্রুত আত্মবিশ্বাস পাওয়াটা জরুরি। সে দিক থেকে এই ম্যাচ আমাকে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস দিয়ে গেল।”
কিন্তু এই যে লম্বা সময় সাইডলাইনে বসে থাকা, সেটা যন্ত্রণা দেয়নি? শামি এবার বলে দেন, “দেখুন, আপনার টিম যদি ভাল খেলে, তা হলে বাইরে বসে থাকতে কোনও অসুবিধা হয় না। মনে রাখবেন, যারাই মাঠে নামছে, তারা সবাই আমার সতীর্থ। তাই আমার কাজ হল, তাদের সমর্থন করা। আমি যাই করি, টিমের জন্য করি। তাই দলের প্রয়োজনে আমি মাঠের বাইর বসতেও রাজি। আসল হল টিমের জয়। উইকেটগুলো আমাকে গভীর তৃপ্তি দিয়েছে আজ। কারণ, বিশ্বকাপের দুটো সেরা টিমের মধ্যে খেলা হচ্ছিল আজ। তাদের বিরুদ্ধে উইকেট নিতে পারলে তৃপ্তিটা একটু বেশিই হয়।”
দেখার এবার একটাই বিষয়। মহম্ম শামি এরপর টিমে থাকেন কিনা হার্দিক পাণ্ডিয়া ফিরে এলে। শামি কিন্তু বুঝিয়ে গেলেন, তাঁকে উপেক্ষা করা আর সহজ হবে না। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কী করে, সেটাই দেখার।