সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেছিলেন লোকেশ রাহুল (KL Rahul)। তবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তাঁকে আর শতরান হাতছাড়া করতে হল না। নিজের ঘরের মাঠেই জোড়া রেকর্ড গড়ে শতরান হাঁকালেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার।
মাত্র ৬২ বলে শতরান হাঁকান তিনি। বিশ্বকাপের মঞ্চে এটাই ভারতীয় হিসাবে কোনও ব্যাটারের দ্রুততম শতরান। শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ১০২ রানে আউট হন তিনি। লোকেশ রাহুলের ইনিংস ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। একইসঙ্গে এদিন ডাচদের বিরুদ্ধে শতরান করে ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। এর আগে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম উইকেটকিপার হিসাবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৪৫ রান করেছিলেন ‘দ্য ওয়াল’। ২৪ বছরের মাথায় সেই নজিরে ভাগ বসালেন লোকেশ রাহুল।
[আরও পড়ুন: ICC ODI World Cup 2023: অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজদের ‘টাইমড আউট’ থেকে বিরাটকে ওয়াইড করা, কাপ যুদ্ধে সেরা পাঁচ বিতর্ক]
এবারের কাপ যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর পর বেশ কয়েকটি ম্যাচে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। সেটা মাথায় রেখেই এদিন ক্রিজে নেমেছিলেন। লোকেশ রাহুল বলছিলেন, “গত দুটি ম্যাচে ক্রিজে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ ছিল না। এদিন অনেকটা সময় কাটাতে পেরে ভালো লাগছে। আসলে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে হলে, সেখানে সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাস দরকার। সেটা বজায় রেখে যেতে হবে।”
রোহিত শর্মা ৬১, শুভমান গিল ৫১ ও বিরাট কোহলি ৫১ রানে আউট হওয়ার জন্য ২০০ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। এর পর চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ২০৮ রান যোগ করেন লোকেশ রাহুল। মারকুটে মেজাজে ব্যাট করার জন্য শেষ ১০ ওভারে ১ উইকেটে ১২৬ রান তুলে দেয় টিম ইন্ডিয়া। শ্রেয়স ৯৪ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। সেই জুটি নিয়ে লোকেশ রাহুল ফের বলেন, “ম্যাচ জিততে হলে, স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে গেলে শেষ ১০ ওভারে মারকুটে মেজাজে ব্যাট করতেই হবে। এতে কোনও রকেট সায়েন্স নেই। আমরা সবাই সেভাবেই তৈরি হয়েছি। বিশ্বকাপের প্রতিটা ম্যাচ এভাবে খেলেছি। এবারও জিতে সেমিফাইনালে নামতে চাই।”
ঋষভ পন্থের অবর্তমানে গ্লাভস হাতে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন। তবুও তাঁর একটা আক্ষেপ কিন্তু রয়েই গেল। সেটাও জানাতে ভুলে যাননি রাহুল। তিনি শেষে মজা করে বলেন, “এত গরমের মধ্যে অনেকক্ষণ ব্যাট করার পর কিপিং করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। তবে দলের স্বার্থে এতটুকু লড়াই তো করতেই হবে। ডিআরএস-এর আবেদনে সঠিক সাড়া দেওয়ার জন্য বোলাররা আমাকেই ভরসা করে। তবে ওদের কাছ থেকে কুর্নিশ পাচ্ছি কোথায়!”