সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত সন্ত্রাস জর্জরিত কাশ্মীর উপত্যকা। শনিবার বারামুলা জেলার সোপরে ঘটে ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় শহিদ হয়েছেন চার পুলিশকর্মী। গুরুতর আহত বেশ কয়েকজন।
[ভারতের মানচিত্রে নেই কাশ্মীর! চিনা গ্লোব ঘিরে বিতর্ক কানাডায়]
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গাড়িতে রুটিন টহলে যাচ্ছিল পুলিশের একটি দল। তখনই রাস্তায় বিছানো একটি শক্তিশালী আইইডি বোমার উপর দিয়ে যাওয়ায় ঘটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। বোমাটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে বেশ কয়েক ফুট দুরে ছিটকে পড়ে গাড়িটি। বোমার আঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় যানটি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান চার পুলিশকর্মী। স্প্লিন্টারের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল মুনির খান জানান, জঙ্গিদের বিছানো আইইডি-র ফাঁদে পড়ে যায় পুলিশের যানটি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে সেনা ও পুলিশের বিশাল বাহিনী। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ দল। সূত্রের খবর, সেনার একটি কনভয়কে লক্ষ্য করে আইইডিটি পুঁতেছিল জঙ্গিরা। ঘটনাক্রমে সেই সময় পুলিশের গাড়িটি এসে পড়ে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিতে প্রবল অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যে খতম হয়েছে বুরহান ওয়ানি, নুরা ত্রালি, সাবজার ভাটের মতো শীর্ষ জঙ্গি নেতারা। ফলে উপত্যকায় একপ্রকার কোণঠাসা জেহাদিরা। তাই মরিয়া হয়েই পালটা আঘাত হানার চেষ্টা করছে তারা। এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে হামলার নেপথ্যে লস্করের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কাশ্মীরে মোদি সরকারের ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের। প্রত্যুত্তরে সরকার জানায়, কাশ্মীরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্র জানায়, ২০১৬-র নভেম্বর থেকে ২০১৭-র অক্টোবর পর্যন্ত কাশ্মীরে মোট ৩৪১ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটেছে। তবে বছরের শুরুতেইই একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রের দাবি।
[কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন দাবড়ানি, ফের পরমাণু যুদ্ধের হুঙ্কার পাকিস্তানের]
The post কাশ্মীরে ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণ, মৃত ৪ পুলিশকর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.