নিরুত্তর ‘১০০’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল দিল্লি আদালত৷ পুলিশের ‘এমার্জেন্সি হেল্পলাইন’ নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাননি এক বিচারপতি৷ স্বাভাবিকভাবেই আপৎকালীন প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি জি রোহিণী ও বিচারপতি জয়ন্ত নাথের বেঞ্চ৷
সম্প্রতি যানজটে আটকে পুলিশের জরুরি নম্বরে ফোন করে কোনও সাহায্য পাওয়া তো দূরের কথা, সাড়াও পাননি দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি বিপিন সাংহী৷ নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে লিখিত অভিযোগ জানান বিচারপতি সাংহী৷ সেই অভিযোগপত্রেরই আরেকটি অনুলিপি প্রধান বিচারপতি জি রোহিণীর কাছে পাঠিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন৷ তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, হাই কোর্টের একজন বিচারপতির ফোনই যদি না ধরা হয়, তাহলে দেশের সাধারণ গরিব মানুষ বিপদে পড়লে কীভাবে জরুরি পরিষেবা পাবেন৷ বুধবার একই প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া যায় হাই কোর্টের দুই বিচারপতির গলাতেও৷ এদিন হাই কোর্টের তরফে কেন্দ্র সরকার ও দিল্লি পুলিশকে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ কমিশনার অলোককুমার ভর্মাকে লেখা অভিযোগপত্রে বিচারপতি সাংহী জানিয়েছেন, ২৯ এপ্রিল বসন্তকুঞ্জে একটি বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথে যানজটে প্রায় ৪০ মিনিট অটকে থাকেন তিনি৷ অনেক খুঁজেও কোনও ট্রাফিক পুলিশের দেখা পাননি৷ তাই বাধ্য হয়েই রাত সওয়া দশটা নাগাদ পুলিশের আপৎকালীন নম্বরে ফোন করেন৷ সে প্রান্ত থেকেও কোনও উত্তর মেলেনি৷
The post ‘১০০’ ডায়াল করে উত্তর পেলেন না খোদ বিচারপতি appeared first on Sangbad Pratidin.