স্টাফ রিপোর্টার: প্রত্যাশামতোই গভর্নিং বডিতে পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিলেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় (Joydeep Mukherjee)। কিন্তু সচিবের অনুপস্থিতিতে ২৫ দিনের অচলাবস্থায় আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে গিয়েছে যে, প্রতি মাসের ৩০ তারিখ আইএফএর (IFA) স্টাফদের যে বেতন হয়ে থাকে, এই মাসে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। পিছিয়ে গিয়ে স্টাফদের বেতন কবে দেওয়া হবে, বলতে পারছেন না আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তবে একটাই আশার আলো, শেষ পর্যন্ত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আইএফএতে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, তার নিরসন ঘটল।
এদিন গভর্নিং বডির সভায় শুরুতেই সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় সদস্যদের সামনে সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন, পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নিতে। এরপরেই নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএফএ’র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত বলেন, “ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জয়দীপ। সচিব চেয়ারে না থাকলে যে ডামাডোল তৈরি হওয়ার কথা, সেরকমই হয়েছে। ১৭ বছর পর ২ মে’থেকে কলকাতায় জাতীয় শিবির হবে। এর সঙ্গে স্পনসরাররাও বুঝতে পারছে না, আইএফএর ডামাডোল কীভাবে মিটবে। সামনে ডুরান্ড কাপ রয়েছে। তার উপর বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতার জন্য নতুন স্পনসরের সঙ্গে কথা চলছে। এই অবস্থায় জয়দীপের মতো সচিব চলে গেলে, বাংলার ফুটবলের ক্ষতি হয়ে যাবে।” গভর্নিং বডিতে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রতিনিধি দেবাশিস দত্ত চিঠি পাঠিয়ে জানান, করোনার আবহে তিনি গভর্নিং বডির সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। কিন্তু চাইছেন, বাংলার ফুটবলের স্বার্থেই জয়দীপ তাঁর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিক।
[আরও পড়ুন: ব্যাটে-বলে দুরন্ত চেন্নাই, রাজস্থানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় জয় পেলেন ধোনিরা]
গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্য যাঁরা এদিন সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁরাও জয়দীপকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। তবে পিয়ারলেস এবং পোর্ট ট্রাস্টের প্রতিনিধি সভায় বলেন, “সেই সমস্যাই যদি মিটে যায়, তাহলে এতদিন ধরে কেন সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হল না? যদি আগেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যেত, চিঠি দিয়ে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য কেন আগেই তাহলে সচিবকে অনুরোধ করা হল না? “
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মুরলিধরন, কবে যোগ দেবেন হায়দরাবাদ শিবিরে?]
এরপরেই বক্তব্য রাখতে উঠে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইএফএ’র সর্বোচ্চ সংস্থা হচ্ছে গভর্নিং বডি। সেখানে সদস্যরা যখন বলছেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে, তখন আমার সঙ্গে তিন সহ সভাপতিও পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। তবে ২৫ দিনে কিন্তু আইএফএর আর্থিক সমস্যা কিছুটা হলেও বেড়ে গিয়েছে।” আর্থিক সমস্যা এতটাই বেড়েছে যে, তহবিলে থাকা টাকা দিয়ে এখন আই লিগের (I League) বিভিন্ন ভেন্ডারদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে হবে। আর তা করতে গিয়ে তহবিলে যা পড়ে থাকবে, তা দিয়ে মাসের ৩০ তারিখে কিছুতেই স্টাফদের বেতন দিতে পারবে না আইএফএ। তবে জয়দীপ যেহেতু পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নিলেন, তাই আর্থিক সমস্যাও ধীরে ধীরে মিটে যাবে বলে মনে করছেন সবাই।