অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: প্রায় ১১ মাস পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে খোলার কথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তার আগেই জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়ে গেল হাওড়ার (Howrah) একটি স্কুলে। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। পুলিশ ও শিক্ষাদপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয়রা।
করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে গত মার্চে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে একাধিকবার আলোচনা করা হলেও স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি প্রশাসন। কারণ, ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছিল। চলতি বছরের শুরুতে করোনা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের তরফে। জানা গিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করেই গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে হাওড়ার শিবপুর ধর্মতলা লেনের একটি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলে।নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ সাফ জানিয়েছে শিক্ষাদপ্তরে অভিযোগ করার কথা। নির্দেশ মেনে শিক্ষাদপ্তরেও জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েও স্কুল বন্ধ করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘আমলারা রাজনীতিতে থেকে সরে দাঁড়ান’, শহিদ সুবোধ ঘোষের বাড়ি থেকে আরজি ধনকড়ের]
কিন্তু কেন শিশুদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত? কর্তৃপক্ষের কথায়, ছাত্রছাত্রীরা পিছিয়ে পড়ছিল।তাছাড়া পড়ুয়াদের ফি থেকেই বেতন দেওয়া হয় স্কুলের শিক্ষকদের। ফলে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। এবিষয়ে প্রাথমিক স্কুলের ডিআই বাদলকুমার পাত্র বলেন, “স্কুলটি সরকারি হলে থানায় অভিযোগ ছাড়াই পদক্ষেপ নেওয়া যেত। কিন্তু বেসরকারি হওয়ায় তা সম্ভব নয়।” স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে স্কুল। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা না ভেবে কীভাবে তার আগেই ক্লাস শুরু করল ওই স্কুল ? প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে দাসপুরের একটি প্রাথমিক স্কুল খোলা হয়েছিল। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। শোকজ করা হয়েছিল প্রধান শিক্ষককে।