সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিশ বাঁও জলে ইমরান খান। তোষাখানা মামলায় স্বস্তি পেলেও আবারও মহাসংকটে পড়েছেন ‘কাপ্তান’। এবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে হামলার-সহ ছ’টি মামালা রুজু হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের বিরুদ্ধে।
পিটিআই সূত্রে খবর, ৯ মে রাওয়ালপিন্ডিতে সেনার সদর দপ্তরে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। এহেন মোট ছ’টি মামলার তিনটিই সন্ত্রাসদমন আইনে করা হয়েছে। গতবছর গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত অন্তত ১৫০টি মামলা রুজু হয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। বলে রাখা ভাল, গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট জানিয়ে দেয় তোষাখানা মামলার আদৌ কোনও সারবত্তা নেই। গত ১০ জুন ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। কিন্তু হাই কোর্ট সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
দুর্নীতি মামলায় মে মাসেই জেল খাটতে হয় ইমরানকে। পরে তিনি মুক্তি পেলেও বিপাকে পড়ে তাঁর দল। একের পর এক শীর্ষ নেতারা পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই-ইনসাফ ছেড়ে দেন। ইমরানের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করতে গিয়ে অন্তত ১০ হাজার দলীয় সমর্থক গ্রেপ্তারও হন। এমনকি ইমরানের দলকে নিষিদ্ধ করতেও উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান সরকার। সব মিলিয়ে পাক রাজনীতিতে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী পাক অধিনায়ক।
[আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে ভারত’, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কৌশলী মন্তব্যে কোন ইঙ্গিত?]
গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সেনাবাহিনী ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দল মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন ইমরান। ‘কাপ্তানে’র অভিযোগ, আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দলকে আটকানোই মূল লক্ষ্য বিপক্ষের। বিশ্লেষকদের মতে, একদা পাক সেনার পোস্টার বয় ছিলেন ইমরান (Imran Khan)। সেই সমীকরণ পালটে যেতেই ফৌজের বিষনজরে পড়েছেন ‘কাপ্তান’। তাঁকে গদিচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে একথা বারবার বলেছেন তিনি। এবার সেনাই তাঁর দলকে নিশানা করছে বলে ইঙ্গিত করছেন তিনি।