সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা বাড়ছিলই। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রিত্বের পদে হয়তো আর বেশিদিন থাকতে পারবেন না ইমরান খান (Imran Khan)। অবশেষে সম্ভবত সত্যি হতে চলেছে সেই গুঞ্জন। ২০ নভেম্বরের মধ্যেই মসনদ ছাড়তে হবে তাঁকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনটাই। শোনা যাচ্ছে, আপাতত জোড়া সম্ভাবনা রাখা হয়েছে ইমরানের সামনে। তাঁকেই বেছে নিতে দেওয়া হয়েছে তাঁর বিদায়বেলার নীল নকশা।
ঠিক কী জানানো হয়েছে তাঁকে? আপাতত দু’টি সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে তাঁকে। এক, তিনি নিজেই ২০ নভেম্বরের আগে পদত্যাগ করুন। দুই, যদি তিনি গদি না ছাড়েন তাহলে বিরোধীরাই সংসদে তাঁর বিদায়ের ক্ষণ স্পষ্ট করে দেবে। সূত্রের দাবি, ইমরানের দল পাকিস্তান তহেরিক-ই-ইনসাফের দুই জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কৌমি মুভমেন্ট ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ তাঁদের সঙ্গে গাঁটছড়া ভেঙে দেবে। যেটাই হোক, ইমরানের বিদায় নিশ্চিত। পরিস্থিতি সেকথাই জানান দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের বিরোধিতা করেও কেন গাঁটছড়া বাঁধলেন? বিতর্কের জবাব দিলেন মালালা]
ইমরানের বিদায়ের পরে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কারা হতে পারেন, সেদিকেও ইঙ্গিত করেছে সূত্র। জানানো হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগের শাহবাজ শরিফ ও ইমরানের দলেরই পারভেজ খট্টকের মধ্যে একজনকে দেখা যেতে পারে পাক মসনদে। প্রায় মাসখানেক ধরেই শোনা যাচ্ছে, পাক সেনা বাহিনীর সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সংঘাত চরমে উঠেছে। আর সেই ধাক্কাতেই ইমরানের আসন টলমল।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের আমজনতার দরবারে গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ কমছিল ইমরানের। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় শোচনীয় হয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণ পাক নাগরিক তাঁর দিকেই আঙুল তুলেছেন। গত মাসেই মুদ্রাস্ফীতির নয়া নজির গড়েছিল পাকিস্তান। ইমরানের খানের আমলে মুদ্রাস্ফীতি ভেঙে দিয়েছে ৭০ বছরের রেকর্ড। সমস্ত খাবারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এর মধ্যে অন্যতম ঘি, পোলট্রি, তেল ও ময়দাজাত খাবার।
[আরও পড়ুন: মেলবোর্নে গান্ধীমূর্তির ‘গলা কাটা’র চেষ্টা দুষ্কৃতীদের, তীব্র নিন্দা অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর]
এদিকে গোটা বিশ্বে এমনিতেই সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা হিসেবে কোণঠাসা ইমরান খানের দেশ। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে ঢুকতে হয়েছে এফএটিএফের (FATF) ধূসর তালিকাতে। বাড়তে থাকা চাপের পরিস্থিতিতে এবার গদিহারার সম্ভাবনা তুঙ্গে ইমরান খানের।