সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিন্দুকরা তাঁর সম্পর্কে বলে, ৯২-য়ের বিশ্বকাপ জেতার পরে প্রাপ্ত টাকা সতীর্থদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছিলেন।
সেই বিশ্বকাপ জয়ের পরে ৩০ বছর অতিক্রান্ত। সেই তিনিই দেশের অধিনায়কত্ব ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বর্তমানে গদি খুইয়ে তিনি আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ এক মানুষ। ভূমিকা বদলালেও, চরিত্র নাকি বদলায়নি তাঁর। যাঁকে নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে, তিনি ইমরান খান (Imran Khan)। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর সরকারের বহুমূল্য সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন পিটিআই প্রধান।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতা ছাড়ছেন ‘ক্যানসার আক্রান্ত’ পুতিন! অস্ত্রোপচারের জন্য লোকচক্ষুর আড়ালে যাচ্ছেন রুশ একনায়ক]
রবিবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম ঔরঙ্গজেব অভিযোগ করেন, ক্ষমতা হারানোর পরও বেশ কিছু সরকারি সম্পত্তি নিজের দখলে রেখেছেন ইমরান খান। এরমধ্যে রয়েছে একটি BMW X5 গাড়ি ও বিদেশি কূটনীতিকের উপহার দেওয়া একটি বন্দুক। মরিয়মের দাবি, বিএমডব্লিউ গাড়িটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের। বিদেশি কূটনীতিবিদের ব্যবহারের জন্য ২০১৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকায় এটি কেনা হয়ছিল। বর্তমান বাজারদরের হিসেবে গাড়িটির দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা। এছাড়া, গাড়িটিকে বুলেট ও বম্ব প্রুফ বানাতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সেই হিসেব ধরলে গাড়িটির দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এছাড়া, একজন বিদেশি কূটনীতিকের উপহার দেওয়া একটি বন্দুকও গোপনে পাকিস্তানে নিয়ে আসেন ইমরান।
পাকিস্তানের নিয়ম মতে, অন্য রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে যে উপহার দেওয়া হয়, তা সরকারি তোষাখানায় জমা করতে হয়। কোনও প্রধানমন্ত্রী যদি সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে চান তবে বস্তুটির অর্ধেক মূল্য দিয়ে তাঁকে সেটা কিনে নিতে হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে গদি হারানোর পর মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন ইমরান। বাকি অর্থ কোথায় গেল, তার স্পষ্ট কোনও হিসাব নেই।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়াতেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। অন্যতম অভিযোগ, বিদেশি অতিথিদের দেওয়া উপহার বেচে দেওয়ার। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif ) দাবি করেন, বিদেশি অতিথিদের দেওয়া উপহার সামগ্রী বিক্রি করে ১৪ কোটি টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন ইমরান। সম্প্রতি এই মামলায় ইমরানের পাওয়া উপহার সামগ্রীর তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। পাক সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।