সুকুমার সরকার, ঢাকা: বদলের বাংলাদেশে কত সমীকরণই না বদলাচ্ছে। হাসিনা পরবর্তী দেশে বিএনপি ও জামাতে ইসলামি আরও কাছাকাছি আসছে। নির্বাচন নিয়ে দুই দলেরই এখন এক সুর। চাপ বাড়ানো হচ্ছে ইউনুস সরকারের উপর। অন্তবর্তী সরকার নির্বাচন নিয়ে যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে শনিবার মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। এদিন বিকালে রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আসলে, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দানে থাকা দুই বড় দল বিএনপি ও জামাতে ইসলামি নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর উভয় দলের শীর্ষনেতারা বিপরীতমুখী বক্তব্য দিলেও সম্প্রতি তাদের বক্তব্যের ধরন ও সুর বদলেছে। কারণ, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে টানাপোড়েনের মধ্যেই রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখে এগোতে চাইছে দল দুটি। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে কারও সঙ্গে বিরোধে না গিয়ে ঐক্য ধরে রাখতে মরিয়া তারা। সম্প্রতি উভয় দলের নেতাদের বক্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে উঠছে।
এদিন বিএনপি মহাসচিব বলেন, ''নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার দ্রুত করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার শেষে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া প্রয়োজন।’’ অপরদিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার মিরপুরে জাতীয়তাবাদী বাউল দল কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে’ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। মঈন খান বলেন, ''ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে দেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সংগ্রামে তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করেছেন। আগামীতে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবে, যেটা তাদের প্রধান দায়িত্ব। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।''