সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের বয়স হয় না। যে কোনও বয়সের মানুষ প্রেমে পড়তে পারেন। একথা বলেন বটে বিশেষজ্ঞরা। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ছতরপুরে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক মহিলা, তার নজির খুব বেশি নেই! সাত সন্তানের মা বছর পঞ্চাশের এক মহিলা প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন। প্রেমিকের বয়স কুড়ি বছর। এমন আজব প্রেমের কথা জেনে ঘাবড়ে গিয়েছে এলাকার লোক। আর মাথায় হাত পড়েছে ওই মহিলার স্বামীর। কেন?
আসলে বাড়ি ছাড়ার সময় স্বামীর ফসল বিক্রির সমস্ত টাকাও নিয়ে গিয়েছেন মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীর নাম হরিমোহন সেন। ছতরপুর জেলার (Chhatarpur District) সতাই থানা এলাকার চান্দেরনপুরওয়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। তিনিই স্ত্রী সঞ্জু সেনের যাবতীয় ঘটনা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার পর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশকে হরিমোহন জানিয়েছেন, তাঁর ফার্মেই কাজ করত বছর কুড়ির তরুণ মহেশ সেন। ওই মহেশের সঙ্গেই পালিয়েছে তাঁর স্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বরফঢাকা কাশ্মীরে সীমান্ত পাহারায় জওয়ানের বিয়ে, বাড়ি পৌঁছে দিতে বিমান পাঠাল বিএসএফ]
বছর পঞ্চান্নর হরিমোহন আরও জানান, তাঁদের সাত সন্তান রয়েছে। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তারপরেও এই কাণ্ড। পুলিশ অভিযোগ জানালেও হরিমোহন তাঁর স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাইছেন। তবে মহেশের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন কড়া সুরে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত পলাতক যুগলের খোঁজ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দু ধর্মের সামনে কোনও বিপদ নেই’, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসায় মত সুপার মডেলের]
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশেরই বিদিশা জেলায়। ওই ঘটনায় ছয় সন্তানের মা এক বিধবা মহিলা এক তরুণের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর এক বছরের মধ্যেই পাশের বাড়ির তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় তাঁর। ওই ক্ষেত্রেও বাড়ির টাকা-পয়সা, এমনকী বিমার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে পালান মহিলা। পলাতক মহিলার ননদ পুলিশে অভিযোগ করেন, তাঁর দাদা জলের ট্যাঙ্ক থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। ক’দিন বাদেই বিমা কোম্পানির থেকে টাকা পাওয়ার কথা ছিল। তার আগে পাশের বাড়ির যুবকের সঙ্গে পালিয়েছে বৌদি।