নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Special session of Parliament)। তার আগে রবিবার বিকেলে দিল্লিতে (Delhi) সংসদের গ্রন্থাগার ভবনে (Parliament library building) সর্বদলীয় বৈঠকে (All-party meeting) একাধিক বিষয়ে সরব হল বিরোধী দলগুলি। মহিলা সংরক্ষণ বিল, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
তৃণমূলের তরফে সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O’brien)। তিনি দাবি করেন, পাঁচ দিন চলা বিশেষ অধিবেশনে আলাদা করে একটি দিন রাখতেই হবে বিরোধীদের জন্য, যেখানে আমজনতার জরুরি বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যগুলির বকেয়ার বিষয়েও আলোচনার দাবি করা হয়। তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ভয়ংকর। লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে তা যেন কোনওভাবেই না আনা হয়। বিলটিকে সংবিধান বিরোধী, আইন বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র বিরোধীও বলা হয়। উল্লেখ্য, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার ওই বিতর্কিত বিল পেশের কথা বুধবার লোকসভার আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিন এছাড়াও মহিলা সংরক্ষণ বিল এবং সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের ফেরানোর পক্ষে সর্বদলীয় বৈঠকে সহওয়াল করে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: পার্কিং নিয়ে ঝামেলার জের, বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী-ছেলের সামনে কুপিয়ে খুন যুবককে]
রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং প্রমোদ তিওয়ারি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি(এস) নেতা এইচডি দেবগৌড়া, ডিএমকে-র কানিমোঝি, টিডিপি-র রাম মোহন নাইডু, আপের সঞ্জয় সিং, বিজেডি-র সস্মিত পাত্র, বিআরএস নেতা কেশব রাও, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির ভি বিজয়সাই রেড্ডি, আরজেডি-র মনোজ ঝা এবং জেডি(ইউ)-এর অনিল হেগড়ে এবং এসপি-র রাম গোপাল যাদব।বৈঠকে সরকারের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।
[আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া জোটে ডাক না পেয়ে ‘অভিমান’! তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার আহ্বান ওয়েইসির]
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের (Parliament Special Session) আলোচ্যসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ভারতীয় গণতন্ত্রের ৭৫ বছরে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হবে ওই বিশেষ অধিবেশনে। আসলে এই বিশেষ অধিবেশনেই পুরনো সংসদকে বিদায় জানিয়ে নতুন সংসদে প্রবেশ করবে সরকার। আলোচনার পাশাপাশি বিশেষ ওই অধিবেশনে চারটি বিল পেশ করবে সরকার। সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বিল। সেই সঙ্গে পোস্ট অফিস বিল, অ্যাডভোকেট সংশোধনী বিল এবং প্রেস ও রেজিস্ট্রেশন বিল পেশ হবে।